আজকের যায়যায়দিন

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখাজির্ অগ্নিযুগের বিপ্লবী মাস্টারদার জন্মভিটা দেখতে এসে রাউজানের সূযর্ সেন স্মৃতি পাঠাগারের জন্য মানিনী চ্যাটাজির্র ‘ডু অ্যান্ড ডাই’ বইটি দেবেন বলেছিলেন। গত ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সফরকালে পাঠাগারটির উদ্বোধন করেন তিনি।

সেই কথা রেখেছেন উপমহাদেশের অবিসংবাদিত রাজনীতিক, বাংলাদেশের অকৃত্রিম এ বন্ধু। সোমবার দিল্লিতে নিজ বাসভবনে প্রণব মুখাজির্ রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর হাতে বইটি তুলে দেন।

সাক্ষাৎকালে তিনি ফজলে করিম চৌধুরীর কাছে চট্টগ্রামের ইতিহাস, ঐতিহ্য সংরক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।

ফজলে করিম চৌধুরীর ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, যারা ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখাজিের্ক কাছ থেকে দেখেছেন, তারা তার জ্ঞান সম্পকের্ ভালো করে জানেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে উনি চট্টগ্রামের ইতিহাস নিয়ে অনেক বেশি পড়াশোনা করেছেন। চট্টগ্রামে তিনি এসেছিলেন। দেখেছেন উপমহাদেশের বিপ্লবতীথর্ মাস্টারদা সূযর্ সেনের জন্মভিটিও। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। বাবা (ফজলে করিম চৌধুরী) দিল্লি সফরকালে প্রণব মুখাজির্র বাসায় গেলে শহীদ সূযর্ সেন পাঠাগারের জন্য বিখ্যাত ‘ডু অ্যান্ড ডাই দ্য চিটাগাং আপরাইজিং ১৯৩০-৩৪ বইটি উপহার দেন। এটি রাউজানবাসীর জন্য অনেক বড় উপহার।

ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক / দুই কার্গো এলএনজি, সার ও ডাল কিনবে সরকার

রাউজানের সূযর্ সেন পাঠাগারে কল্পনা দত্তের লেখা বই দেখে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখাজির্ সূযর্ সেন স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত বলেন, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি যখন মাস্টারদার আবক্ষ-ভাস্কযের্ পুষ্পমাল্য অপর্ণ এবং ‘চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের মহানায়ক মাস্টারদা সূযর্ সেন স্মৃতি পাঠাগার’ উদ্বোধন করতে এসেছিলেন তখন কল্পনা দত্তের একটি বই হাতে নিয়ে দেখেন। এ সময় তিনি বলেন, কল্পনা দত্তের পুত্রবধূ সাংবাদিক মানিনী চ্যাটাজির্র চট্টগ্রামের ওপর লেখা ‘ডু অ্যান্ড ডাই’ বইটি তিনি পাঠাগারের জন্য উপহার দেবেন। রাউজানের সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পকির্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে সেই বইটি উপহার দিয়েছেন। বইটি নিঃসন্দেহে পাঠাগারের অমূল্য সম্পদ।