আজকের যায়যায়দিন

বাকি সব দেশের মতো করোনাভাইরাসের ছোবলে স্থবির হয়ে আছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন। নিজেদের গৃহবন্দি করে রেখেছেন খেলোয়াড়রা। অলস সময় কাটছে ক্রিকেটারদেরও। গৃহবন্দি থেকেও নিজের ফিটনেসের ব্যাপারটা ভুলে যাননি মুশফিকুর রহিম।

করোনা-আতঙ্কে গৃহবন্দি জীবনে সেস ফ্যাব্রিগাসের মতো কেউ টিভি সিরিজ দেখে সময় কাটাচ্ছেন। লিওনেল মেসি, জামাল ভূঁইয়া, মার্সেলো, সার্জিও রামোসের মতো কেউ কেউ আবার টয়লেট রোল জাগল করায় মেতেছেন। অ্যালিসন বেকার হাত ধুতে উদ্বুদ্ধ করছেন সবাইকে। কিন্তু এক বিন্দুতে সবাই এসে মিলে যাচ্ছেন। সেটি হলো নিজেকে ফিট রাখা। খেলাই যেহেতু রুটি-রুজি, নিজেকে ফিট রাখার বিকল্প নেই এখানে।

করোনার কারণে যতই গৃহবন্দি অবস্থায় সময় কাটুক না কেন, যেকোনো মুহূর্তেই অনিশ্চয়তা ও ভীতির এই কালো মেঘ সরে গিয়ে উঠবে সম্ভাবনার সূর্য। এ কথা ক্রীড়াবিদরা মাথায় রেখেছেন। জানেন, যেকোনো মুহূর্তে আবারও খেলাধুলা শুরু হয়ে যেতে পারে। সে জন্য নিজেকে ফিট রাখতে হবে সর্বক্ষণ। টাইগার ব্যাটসম্যান-উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমও এর বাইরে নন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে মুশফিক একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গৃহবন্দি অবস্থায় অলস বসে নেই তিনি। নিজেকে ফিট রাখার জন্য ট্রেডমিলে সমানে দৌড়ে চলেছেন দেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। সঙ্গে ক্যাপশন দিয়েছেন জীবনে উন্নতি করার সেই আদি ও অকৃত্রিম টোটকা, 'কঠোর পরিশ্রম করে যাও।'

মুশফিকের ক্যাচ আউট নিয়ে বিতর্ক, মোহামেডানের হাসি

মুশফিক নিজেই কয়েকদিন আগে জানিয়েছিলেন, করোনার দিনগুলোতে নিজেকে ফিট রাখার জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করবেন তিনি। এ জন্য নিজের একটা ব্যক্তিগত অনুশীলন পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন মুশফিক, 'সবদিক দিয়ে নিরাপদ থেকে এবং অন্যদের নিরাপদ রেখে মাঝেমধ্যে গিয়ে ইনডোরে ব্যাটিং করব। জিম এবং রানিংও করব ইনশা আলস্নাহ।' ফিট থাকার প্রশ্নে নিজেকে যে বিন্দুমাত্রও ছাড় দেবেন না, সেটিও বলেছিলেন মুশফিক, 'অন্যরা কী করবে জানি না, তবে আমি নিজে এটা (নিজেকে ফিট রাখা) করব।'

প্রিমিয়ার লিগ আবার কবে শুরু হবে, কেউ জানে না। খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, এই স্থগিতাদেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য।

কিছুদিন আগে রিয়াল মাদ্রিদের অধিনায়ক সার্জিও রামোস ঠিক এমনভাবেই নিজের একটা ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। গৃহবন্দি অবস্থায় একাগ্রচিত্তে ট্রেডমিলে দৌড়ে যাচ্ছেন তিনি। মুশফিকের এই ভিডিওটা রামোসের ওই ভিডিওর কথাই মনে করিয়ে দিল।

বড় খেলোয়াড়রা এমনই পরিশ্রমের ব্যাপারে আপসহীন!