রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

জামায়াতের ইফতারে বিএনপি ও সমমনা দলের শতাধিক নেতার উপস্থিতি

যাযাদি ডেস্ক
  ৩১ মার্চ ২০২৪, ০০:০৩
ছবি সংগৃহীত

দীর্ঘ ৯ বছর পর গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে জামায়াতের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এই ইফতার মাহফিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির এক ডজনের বেশি কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিতি ছিলেন। তবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় যোগ দিতে পারেননি। অন্য সমমনা দলের প্রায় শতাধিক নেতাও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিনা সংগ্রামে কখনো মুক্তি আসে না। সকল বাধা ও শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে হলে এ জাতিকে আরেকটিবার শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে।

শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়ার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দের সঞ্চালনায় এ মাহফিলে আগত মেহমানদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

এ ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের সাবেক স্পীকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুজিবুর রহমান সরোয়ার, আবদুস সালাম, জহিরুদ্দিন মুহাম্মাদ স্বপন, আতাউর রহমান ঢালী, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট মাসুদ উদ্দিন তালুকদার, এলডিপি’র সভাপতি ড. কর্নেল অব. অলি আহমাদ, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির নেতা ব্যারিস্টার যুবাইর, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর, এসএম শাহজাহান কবির, দৈনিক নয়া দিগন্তের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাহ উদ্দিন বাবর, উপ-সম্পাদক (বার্তা) মাসুমুর রহমান খলিলী।

সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, সাবেক মহাসচিব এমএ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমাদ, ইলিয়াস খান, নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো: শহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, সাবেক সাধারণ বাকের হোসাইন, সরদার ফরিদ আহমদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী প্রমুখ।

দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেমে দ্বীন জামিয়া ইমদাদিয়ার মহাপরিচালক এবং ইসলামিক কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমির মাওলানা আবু তাহের জিহাদী আল কাসেমী, বাংলাদেশ নিজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, গণসেবা আন্দোলনের আমির মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুফতি বিন ইয়ামিন (মহাসচিব গণসেবা আন্দোলন), খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফি, মহাসচিব ইসলামিক কানুন বাস্তবায়ন পরিষদ, বাংলাদেশ ইসলামিক দাওয়া সেন্টারের পরিচালক মুফতি নুরুজ্জামান নোমানী, জমিয়তে হিজবুল্লার কেন্দ্রীয় মুরুব্বী অধ্যক্ষ ডক্টর মাওলানা মুহিউদ্দিন, জাতীয় খতিব পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি মাসুদুর রহমান জাহেদী, ছরছিনা দরবার শরীফের পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, মিরেশ্বরাই দরবার শরীফের পীর মাওলানা আব্দুল মমিন নাসেরী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মাওলানা রফিকুল রহমান মাদানী।

জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো: তাহের, নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়ায্যম হোসাইন হেলাল, মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব যোবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রব, সাইফুল আলম খান মিলন, অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ শাহাবুদ্দিন, অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ ইজ্জত উল্লাহ, মুবারক হোসাইন, জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মাদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট মশিউল আলম, মাওলানা আবদুল মান্নান, অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ড. মুহাম্মদ কেরামত আলী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, কাজী দ্বীন মুহাম্মাদ, ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। অফিস সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুস সাত্তার। ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।

সাবেক বিচারপতি ফরিদ, অ্যাডভোকেট আবদুল করিম, অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দিন, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ফজলুল করিম, অধ্যাপক আবদুর রব, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, দৈনিক সংগ্রামের এমডি নূরুল আমিন, মেজর জেনারেল অব. আলমাস আমিন, কর্নেল অব. আনোয়ার হোসেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা হারুনুর রশিদ খান।

মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে ইফতার মাহফিল শুরু হয়। কালামে হাকিম থেকে তেলাওয়াত করবেন ক্বারী বেলাল হোসাইন।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ জুন হোটেল সোনারগাঁওয়ে রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনদের নিয়ে ইফতার করেছিল জামায়াতে ইসলামী। তখন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ইফতারে অংশ নিয়েছিলেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে