সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

টানা বৃষ্টি : হিমাচল-উত্তরাখন্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮১

যাযাদি ডেস্ক
  ১৮ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
ভূমিধসে হিমাচলে ঝুলে গেছে রেললাইন

টানা বৃষ্টি ও হড়পা বানের (হঠাৎ বন্যা) জেরে ভারতের হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখন্ড মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮১। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক। উদ্ধারকাজ অব্যাহত থাকলেও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী অসহায় পরিস্থিতিতে পড়েছে। কারণ ভূমিধসের কারণে বহু পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছাতেই পারছে না তারা। গত রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে একাধিক জেলায় ভূমিধসে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। নদীর পানি উপচে বহু এলাকা পস্নাবিত হয়েছে। ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। বৃহস্পতিবারেও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি হিমাচল। হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এই ক্ষতি সামলে উঠতে এক বছর লাগবে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, ইনডিয়ান এক্সপ্রেস

হিমাচল প্রদেশে গত কয়েক দিন ধরে অব্যাহতভাবে ঝরছে বৃষ্টি। আর এই টানা বৃষ্টিতে সেখানে বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। টানা বৃষ্টির ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে প্রদেশের সিমলার একটি পাহাড়ে। সেখানে বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে টয় রেললাইনের মাটির নিচের অংশ। এতে ঝুলে গেছে লাইনের বিশাল একটি অংশ। যদিও এই লাইনটি মূল রেললাইনের কোনো অংশ নয়। পাহাড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লাইন কালকা থেকে শুরু হয়ে সিমলার পাহাড়ের ওপর দিকে চলে গেছে। এই ট্রেনে চলার সময় পর্যটকরা উপভোগ করতে পারেন দুই পাশের পাহাড়ি সৌন্দর্য ও বনাঞ্চল। এই পথে চলাচল করতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হয়।

তবে বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর লাইনটি এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রেলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আবারও এই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে এক মাস সময় লাগবে, সঙ্গে খরচ করতে হবে ১৫ কোটি রুপি।

এদিকে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পাশের রাজ্য উত্তরাখন্ডও ভালো নেই। সেখানে সরকারি হিসাবে দুর্যোগের মারা গেছেন ১০ জন। ধসে নেমে বন্ধ হয়ে গেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। কার্যত রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, একটানা না হলেও আগামী কিছুদিন ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকবে বিপর্যস্ত এই দুই রাজ্যে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে