শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চিরিরবন্দরে ব্রকলি চাষে লাভবান কৃষক

ম চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর গ্রামের কৃষক মো. মতিয়ার রহমান দ্বিতীয়বারের মতো ব্রকলির আবাদ করেছেন। সবুজ রঙের এই সবজি দেখতে ফুলকপির মতো। পুষ্টিগুণ অন্যান্য সবজি অপেক্ষা বেশি। চলতি বছর ফলনও হয়েছে ভালো। নতুন জাতের এ সবজির কদরও রয়েছে। ব্রকলির ফলন ও বাজার দর ভালো পাওয়ায় হাসি ফুটেছে মতিয়ারের মুখে।

কৃষি বিভাগ জানায়, অল্প খরচ ও সময়ে অধিক লাভ পাওয়ায় এ সবজি আবাদে স্থানীয় কৃষকরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ব্রকলি রোপণের ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে পুষ্প মঞ্জুরি সংগ্রহের উপযুক্ত সময়। ধারালো ছুরি বা বেস্নড দিয়ে তিন ইঞ্চি কান্ডসহ পুষ্প মঞ্জুরি কেটে সংগ্রহ করতে হয়। এভাবে একই জমি থেকে মাসে কয়েকবার ব্রকলি সংগ্রহ করা যায়। পুষ্প মঞ্জুরি মোটামুটি জমাট বাঁধা অবস্থায় সংগ্রহ করা উচিত। সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে হেক্টরপ্রতি ফলন ১২ থেকে ১৩ টন পাওয়া যায়।

দেশের সব অঞ্চলেই ব্রকলি চাষ করা যেতে পারে। উঁচু জমিতে ব্রকলির বাম্পার ফলন হয়। সাধারণত যে ধরনের জলবায়ুতে ফুলকপির চাষ হয় সেখানে ব্রকলি ভালো জন্মে। পানি জমে না এরূপ উঁচু জমি, উর্বর দো-আঁশ মাটি হলে ফলন ভালো পাওয়া যায়। ব্রকলির গাছ ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভালো জন্মে। ব্রকলির সফল চাষের জন্য মাটিতে যথেষ্ট পরিমাণে জৈবসার থাকা প্রয়োজন। তবে সেচ ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধা আছে এমন জমি ব্রকলি চাষের জন্য নির্বাচন করতে হবে।

কৃষক মতিয়ার রহমান জানান, গত বছর রংপুরের সিও বাজার থেকে ব্রকলির বীজ সংগ্রহ করেন। এ বছর ১২ শতক জমিতে ১ হাজার ২৬০টি ব্রকলির চারা রোপণ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। তিনি প্রতি পিস ব্রকলি ২০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করেছেন। এতে তিনি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। এছাড়াও তিনি ফুলকপি ও পাতাকপি চাষ করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, সুস্বাদু সবজি ব্রকলি এই উপজেলায় আবাদ উপযোগী। তবে চাষিরা পরামর্শগুলো কাজে লাগাতে পারলে ব্রকলি চাষ করে লাভবান হতে পারবেন। ইউরোপ দেশের রুচিশীল সবজি হিসেবে পরিচিত ব্রকলি বাংলাদেশের ফুলকপির মতো। তাই এটিকে অনেকেই বলেন 'সবুজ ফুলকপি'।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে