শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
জয়পুরহাট পৌর নির্বাচন

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি

মাসুদ রানা, জয়পুরহাট
  ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

২৮ ফেব্রম্নয়ারি অনুষ্ঠেয় জয়পুরহাট পৌর নির্বাচনে এবারই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে। সে কারণে এলাকায় বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে রাস্তঘাটসহ অলিগলি। চলছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের গণসংযোগ। ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৬ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৭০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে প্রার্থী যতই হোক না কেন মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যেই। আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের কারণে শতভাগ বিজয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করছেন। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুল হক আশা করছেন সুষ্ঠু ভোট হলে জনগণ তাকে বিজয়ী করবেন।

নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অপর তিনজন হচ্ছেন- ইসলামী আন্দোলন থেকে হাতপাখা প্রতীকে মাওলানা জহুরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জগ প্রতীকে হাসিবুল আলম লিটন এবং নারকেল গাছ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দেওয়ান বেদারুল ইসলাম বেদ্বীন। এছাড়া কাউন্সিলর আর সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে একাধিক প্রার্থী প্রচারণা করছেন জোরেশোরে। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে দিয়ে যাচ্ছেন নানা ধরনের উন্নয়ন আর কাজের প্রতিশ্রম্নতি।

এ ব্যাপারে এলাকার একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এতসব উন্নয়ন আর কাজের প্রতিশ্রম্নতি নয়, সৎ, যোগ্য ও জনদরদি প্রার্থীকেই বেছে নিতে চান তারা। যারা তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবেন সব সময়। তবে সবার আশা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠানের।

নৌকা প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক জানান, বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়। এখানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তার এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে জনগণ নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে বিজয়ী করবে বলে তিনি আশা করছেন। অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুল হক জানান, সাধারণ ভোটাররা ঠিকভাবে ভোট দিতে পারবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হলে ধানের শীষ বিপুল ভোটে জয়ী হবে।

এ ব্যাপারে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, পৌর নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবার প্রথম ইভিএমে ভোট হওয়ায় এ ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরির কাজ চলছে। নির্বাচনী মাঠে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম, পুলিশ,র্ যাব, বিজিবিসহ রাখা হয়েছে সার্বক্ষণিক নজরদারি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে