শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আখাউড়া স্থলবন্দরে বছরে ৯০ লাখ টাকা মাশুল আদায়

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  ০৪ জুলাই ২০২২, ০০:০০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে গত অর্থবছরে আমদানি-রপ্তানি থেকে ৯০ লাখ ৯১ হাজার ১১৩ টাকা বন্দর মাশুল আদায় হয়েছে। যা বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৫৩ লাখ টাকা বেশি। গত অর্থবছরে এ বন্দর দিয়ে আমদানি বেশি হওয়ায় বন্দর মাশুল বেশি আদায় হয়েছে। যা বন্দর চালু হওয়ার পরে সর্বোচ্চ বন্দর মাশুল আদায় বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে।

স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে এ বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ৪ হাজার ৫২৭ ট্রাক পণ্য এবং রপ্তানি হয়েছে ৯ হাজার ২৯৮ ট্রাক পণ্য। মোট গাড়ির সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৮২৫ ট্রাক। এসব ট্রাকের বন্দরে প্রবেশ ফি, ওজন চার্জ, অবস্থান চার্জ, ডকুমেন্টেশন চার্জসহ অন্যান্য খাতে ভ্যাটসহ মোট ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১১৩ টাকা মাশুল আদায় হয়েছে। তবে বিগত বছর আমদানি বাড়লেও রপ্তানি কিছুটা কমেছে। বন্দর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমদানির পণ্যবাহী ট্রাক থেকে বেশি মাশুল আদায় হয়। সে তুলনায় রপ্তানি পণ্যের মাশুল কম আদায় হয়। বিগত অর্থবছরে গম, চাল আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া কিছু পেঁয়াজ, আদা ও শুঁটকি আমদানি হয়েছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, যাদের সঙ্গে আমরা চুক্তি করেছি পণ্য পাঠানোর জন্য, ডলারের দর উঠা-নামার কারণে তারা আমাদের চুক্তিগুলো বাতিল করছে। এজন্য এ বছর মাছ রপ্তানি খুব কম হয়েছে। ডলারের দর স্থিতিশীলতা না হলে রপ্তানিতে বিরাট একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট সামাউল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি এ বন্দর দিয়ে গম ও চাল আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কারণে বন্দর মাশুল অন্যান্য অর্থবছরের চেয়ে বেশি আদায় হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে