শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফুলবাড়ী ও বাজিতপুরে মাঘের ঠান্ডা উপেক্ষা করে বোরো চাষ

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বোরো চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক -যাযাদি

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলাজুড়ে শুরু হয়েছে মাঘের তীব্র ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে বোরো ধান চাষ। এখানকার কৃষক ব্যস্ত সময় পাড় করছেন বোরো চাষে জমিতে ধান চারা রোপণের কাজে। জমিতে হাল চাষ, সেচ দেওয়াসহ নানা কাজে ব্যস্ত রয়েছেন তারা।

এখানে এবার ১০ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ শুরু হয়েছে। বোরো পুরোদমে শুরু হওয়ায় এখানকার দিনমজুররাও কর্ম ফিরে পেয়েছেন। দিনমজুররা জমি তৈরিসহ সেই জমিতে বোরো ধান চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। একজন দিনমজুর প্রতিদিন জমিতে চারা রোপণ করে আয় করছেন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা।

স্থানীয় কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, তাদের বর্তমান ব্যস্ত সময় কাটছে। বোরো তিনি এবার ৫ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করছেন। জমিতে সেচ দেওয়া, হাল চাষ করা ও চারা রোপণ করতেই সময় কাটছে তার। কৃষক নুর ইসলাম জানান, এখন বোরোর ভরা মৌসুম। তাই জমি তৈরিসহ চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এবার তিনি সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করছেন।

স্থানীয় দিনমজুর আব্দুল মিয়া জানান, বোরো মৌসুমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকের জমিতে চারা রোপণ করে প্রতিদিন আয় করছেন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। দিনমজুরদের একটি টিম প্রতি বিঘা জমিতে বোরা চারা রোপণ করতে ১ হাজার ৬০০ টাকা নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন জানান, এবার উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার সব জমিতে চারা রোপণ হবে।

এদিকে বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, কুলিয়ারচর, কটিয়াদি, ভৈরবসহ ১৩ উপজেলায় এ বছর ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা বেশি বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, এ বছর শীত মৌসুমে ধানের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই না থাকার কারণে ইরি-বোরো ধানে প্রতি একরে ৮০-৯০ মণ ফলন হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষকরা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকরা চড়া সুদে ঋণ নিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ও ইরি-বোরো ধান রোপণ করেছেন। তাদের আশা-নিরাশার মধ্যে থেকে ও কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন একটি ফসলের আশায়। গত বছর এই হাওড়গুলোতে ইরি-বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছিল। সেই আশাকে বাস্তবে রূপদান করার জন্য তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন মাঠের মধ্যে। যদিও এ বছর সার, ডিজেলসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বেশি। তবুও কৃষকরা একটু পিছিয়ে নেই। প্রতি মণ ধানের ফলন যদি কৃষক ১০০০-১২০০ টাকা পায়, তাহলে তারা লাভবান হবেন।

বাজিতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবিএম রকিবুল হাসান বলেন, এ বছর ইরি-বোরো ধানের মাঠ খুবই ভালো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে