সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুট

দুই দেশের জনগণ চায় একটি যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

বাংলাদেশের রহনপুর-ভারতের সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর অপেক্ষা করছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ। এ নিয়ে বেশ কয়েকদফা বৈঠক করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কিংবা দায়িত্বশীল কেউ ভারত সফরে গেলে এ আলোচনা উঠে আসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য ভারত সফর ঘিরে আবারও স্বপ্ন দেখছেন রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ। সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দারা। তাদের সঙ্গে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের আত্মিক সম্পর্ক। তারা এ রুট দিয়ে যেে কোনো একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। এরই অংশ হিসেবে আবারও এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি বাস্তবায়নে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে রেলমন্ত্রীর কাছে এ দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন রহনপুর রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের নেতারা।

রহনপুর রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক নাজমুল হুদা খান রুবেল জানান, ব্রিটিশ সরকার ১৯১৭ সালে রহনপুর থেকে ভারত রেল যোগাযোগ স্থাপন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগ পর্যন্ত এ রুটে ট্রেন চলাচল করেছে। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর রুটটি বন্ধ হয়ে যায়। ২৫ বছর পর ১৯৯০ সালে রুটটি পুনরায় চালু হয়। এখন এ রুট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত-নেপালে পণ্য পরিবহণ হয়ে থাকে। রহনপুর থেকে রেলপথে ভারতের দূরত্ব মাত্র ১০ কি.মি.। ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী স্টেশন রক্সাল ও যোগবানী স্টেশনের দূরুত্ব অনেক কম। এছাড়া এ রুটটি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়েতে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ভারত ও নেপালের রাষ্ট্রদূত এই রেলপথ পরিদর্শন করে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে মতামত দিয়েছেন।

বর্তমানে রহনপুর থেকে ভারত হয়ে নেপাল রেল ট্রানজিট চালু রয়েছে। এর আগে রাজশাহী সদর আসেনর সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনও এ রুট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল চালু করার আবেদন করেছেন। এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হলে দুই দেশের পর্যটনের নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

এ বিষয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান জানান, 'রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত-নেপালের মধ্যে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করার আবেদন পেয়েছি। আমি এ বিষয়ে রেলমন্ত্রীকে একটি ডিও লেটার পাঠাব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে