শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজাদপুরের চরাঞ্চলে গমের বাম্পার ফলন

এম,এ, জাফর লিটন
  ২২ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০
শাহজাদপুরের যমুনার চরে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে গমের শিষ -যাযাদি

চলতি বছর রবি মৌসুমে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার যমুনার চরে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। যমুনা নদীর ধু-ধু বালুচরের যেদিকেই চোখ যায়, শুধুই গমক্ষেত। গমের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখেও হাসি ফুটে উঠেছে। ইতোমধ্যেই কৃষকরা গম কাটা ও মাড়াই শুরু করেছেন।

যমুনা নদীর তীরবর্তী গালা, কৈজুরী, জালালপুর এবং যমুনাচরের বানতিয়ার, ভাটদিঘুলিয়া, রতনদিয়া, বাঙ্গালা, বারোপাখিয়া, শ্রীপুর, ছোটচামতারা, বড় চামতারাসহ বিভিন্ন স্থানে গম চাষাবাদ বেশি হয়েছে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে গম কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে।

চরাঞ্চলের বড়চামতারার গমচাষি রজব আলী জানান, এবার বিঘাপ্রতি ১০ থেকে সাড়ে ১০ মণ গম উৎপাদিত হয়েছে। স্থানীয় হাট-বাজারে প্রতি মণ গম গড়ে ১ হাজার ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে এ অঞ্চলের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

শাহজাদপুর উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, উপজেলার চরাঞ্চলসহ সব ইউনিয়নেই গত বছরের চেয়ে এবার গম চাষ বেশি হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকরা এ লাভজনক গম চাষে ঝুঁকছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার গমের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এদিকে, এক সময় এসব ধু-ধু বালুচর কৃষকের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতা ও পরামর্শে কৃষকরা এই ধু-ধু বালুচরে গমের বাম্পার ফলন ফলিয়েছেন। ফলে যমুনার ভাঙনে নিঃস্ব চাষিরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। তাদের অভাব দূর হয়ে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। যমুনা নদীর কৈজুরির চর, দাদপুর চর, সোনাতনি চর, বানতিয়ার চর, হাতকোড়া চর ঘুরে দেখা গেছে, এসব চরে এ বছর গমের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ২০ ভাগ বেশি বলে জানা গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে