আজকের যায়যায়দিন

মহামারি করোনার আসন্ন ঢেউ মোকাবিলায় লকডাউনের মতো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন হবে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুলস্নাহ করোনাভাইরাসের নতুন ধরন যথাযথভাবে মোকাবিলায় দ্রম্নত কোভিডের টিকা গ্রহণের আহ্বান জানান।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি আয়োজিত 'করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও করণীয়' শীর্ষক সেমিনারে মূল আলোচক হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. আব্দুলস্নাহ বলেন, মহামারি করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের মুখে বাংলাদেশ। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন দ্রম্নত এবং ব্যাপকভাবে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায় ১০ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। তবে, সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বেপরোয়াভাবে চলাচল বা স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা যাবে না। তিনি বলেন, চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলা করতে মাস্ক পরিধানের কোনো বিকল্প নেই। সবাইকে হাত ধোয়ার অভ্যাস চর্চা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

ইউজিসি সচিব ডক্টর ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে কমিশনের সদস্য প্রফেসর ডক্টর মো. আবু তাহের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ইউজিসি'র সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও এপির'র ফোকাল পয়েন্ট মো. গোলাম দস্তগীরের সঞ্চালনায় সেমিনারে ইউজিসি'র উপ-পরিচালক, সিনিয়র সহকারী পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও সমপর্যায়ের ৪০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী আজ

দেশের প্রখ্যাত এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, নাকে নেওয়ার কোভিড ওষুধের ট্রায়াল শিগগির দেশে শুরু হতে পারে। বাংলাদেশ ও সুইডেনের যৌথ উদ্যোগে এই ওষুধ বাংলাদেশে তৈরি হবে। এই টিকা করোনাভাইরাসের সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই প্রায় শতভাগ কার্যকর হবে এবং এটি মানুষকে অনেক বেশি সুরক্ষা দেবে।