রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

দলের সামর্থ্যে আস্থা রাখছেন ক্যাবরেরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ১৮ মে ২০২৩, ০০:০০
বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা

দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ মানেই বাংলাদেশের অনেক স্বপ্ন-প্রত্যাশা। গত কয়েক আসর থেকে এবারের সাফ আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং বাংলাদেশের জন্য। কারণ, এবার 'বি' গ্রম্নপে মালদ্বীপ, ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে শক্তিশালী দল লেবাননও। সাফে অংশ নিতে যাওয়া ৮ দলের মধ্যে যারার্ যাংকিংয়ে সব থেকে এগিয়ে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা গ্রম্নপের লড়াই চ্যালেঞ্জিং মেনে নিলেও নিজের দলের সামর্থ্যের প্রতিও আস্থা রাখছেন। ভারতের দিলিস্নতে বুধবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১৪তম আসরের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। 'এ' গ্রম্নপে স্বাগতিক ভারতের সঙ্গে আছে কুয়েত, নেপাল ও পাকিস্তান।

দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ এই প্রতিযোগিতা আগামী ২১ জুন ভারতের বেঙ্গালুরুতে শুরু হয়ে ৪ জুলাই শেষ হওয়ার কথা। এবারের সাফের দলগুলোর মধ্যে ফিফার্ যাংকিংয়ের দিক থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী দল লেবানন (৯৯তম)। 'বি' গ্রম্নপের বাকি তিন দলের মধ্যে মালদ্বীপ ১৫৪তম, ভুটান ১৮৫তম ও  বাংলাদেশ ১৯২তম। লেবাননের বিপক্ষে জয় ও হার দুই রকম অভিজ্ঞতাই আছে বাংলাদেশের। ২০১১ সালে লেবাননের বিপক্ষে ব্রাজিল বিশ্বকাপের বাছাইয়ে বৈরুতে ৪-০ গোলে হেরে গেলেও ঢাকায় জিতেছিল ২-০ ব্যবধানে।

বাফুফে ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ক্যাবরেরা জানালেন নিজেদের গ্রম্নপে লেবাননকে পেয়ে ভড়কে যাচ্ছেন না তারা। এই স্প্যানিশ কোচ আত্মবিশ্বাসের সুরেই বললেন, 'গ্রম্নপ নিয়ে আমার প্রথম অনুভূতি হচ্ছে, এটা চ্যালেঞ্জিং গ্রম্নপ। আমরাও প্রত্যাশা করছিলাম, দুটি গ্রম্নপই কঠিন। ফিফারর্ যাংকিংয়ের সবচেয়ে উপরে থাকা লেবাননকে গ্রম্নপে পেয়েছি, কিন্তু ড্র নিয়ে আমাদের মনোভাব ইতিবাচক। বিশ্বাস করি, আমরা যদি নিজেদের পর্যায়ের পারফরম করতে পারি, আমাদের সুযোগ থাকবে লক্ষ্য অর্জনের।'

'আবারও বলছি, আমরা 'ম্যাচ বাই ম্যাচ' যেতে চাই। প্রথমে সেমিফাইনালে উঠতে চাই। ড্র নিয়ে আমরা খুশি। দুটি গ্রম্নপই শক্তিশালী এবং চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু আমরা নিজেদের ওপর বিশ্বাস ধরে রাখব। ইতিবাচক থাকব এবং লক্ষ্য অর্জনের আশা রাখব।' যোগ করেন ক্যাবরেরা।

২০০৩ সালে সবশেষ এই মুকুট জেতা বাংলাদেশ ২০০৫ সালে সবশেষ ফাইনাল খেলেছিল, সেবার ভারতের কাছে হারে দল। ২০০৯ সালের পর এই প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালেও উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যর্থতার বৃত্ত এবার ভাঙতে আশাবাদী এই কোচ, 'আমরা বিশ্বাস করি, সব প্রতিপক্ষের জন্য আমরা পরিস্থিতি কঠিন করে তুলতে পারি এবং নিজেদের সেরাটা পারফরম করে (লক্ষ্য পূরণ করতে পারি)। নিজেদের সামর্থ্য আমরা জানি, সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই করার মতো সক্ষমতা আমাদের আছে।' (সেমিফাইনাল জিততে দুটি জয় লাগবে কিনা) এটা অনেক সময় পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। তবে সেমিফাইনালে উঠতে হলে আমাদের যোগ্য দল হয়ে উঠতে হবে, ম্যাচ জিততে হবে।'

আগামী ৪ জুন ঢাকায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রস্তুতি শুরু করবেন ক্যাবরেরা। এরপর কম্বোডিয়া গিয়ে ১৫ জুন একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে সেখান থেকে বেঙ্গালুরু যাবে দল। এরই মধ্যে ৩৫ জনের প্রাথমিক দলও দিয়েছেন কোচ। ২৭ জনের চূড়ান্ত দল এখান থেকেই বেছে নেওয়া হবে বলেও জানালেন তিনি, 'সাফের আগে আমরা কম্বোডিয়ায় গিয়ে তাদের বিপক্ষে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব। আমি মনে করি, সেটা আমাদের জন্য ভালো একটা চ্যালেঞ্জ হবে। এখানে এক সপ্তাহ প্রস্তুতি নেব এবং কম্বোডিয়া ম্যাচের পরও দল গুছিয়ে নেব। বর্তমান স্কোয়াড নিয়ে আমি খুশি। যে ৩৫ জন প্রাথমিক বাছাই করেছি, এর সঙ্গে নতুন কেউ যোগ হবে না। এখান থেকেই আমি ২৭ জনকে বেছে নেব। খেলোয়াড়দের ইনজুরি বা অনেক কিছু হতে পারে। তখন আমরা সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।'

এলিটা কিংসলে ক্লাব ফুটবলে সেরা একাদশে অনিয়মিত। অবশ্য, ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তার ক্লাব সতীর্থ ফয়সাল আহমেদ ফাহিম জোড়া গোল করেন। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে যায় আবাহনীও।

ফেডারেশন কাপ ও লিগের খেলাগুলো মাঠে বসেই দেখছেন ক্যাবরেরা। ফাহিমের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টির কথা জানালেন কিংসলের 'ম্যাচ টাইম' নিয়ে জানালেন হতাশা, 'ফাহিম ভালো করেছে। দুই গোল করেছে, বিরতির আগে সে দারুণ খেলেছে। এটা আমার জন্য ভালো খবর। আমি জানি, এলিটা পরিশ্রম করছে। কিন্তু সে ম্যাচে টাইম পাচ্ছে না বেশি। তো তার জন্য বিষয়গুলো বেশ কঠিন। আশা করি, বাকি ম্যাচগুলো সে খেলার জন্য আরও বেশি সময় পাবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে