শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারি অফিসে হত্যা কাণ্ডের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় নয়: রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার

বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি
  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:১২

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কক্ষে গুলি করে রুপকারী ইউপি সদস্য সমর বিজয় চাকমার হত্যা মামলায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। দফায় দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা।

শুক্রবার সকালে রাঙ্গামাটি জেলার পুলিশ সুপার মীর মোদাচ্ছের হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে এক জরুরী মতবিনিময় সভা করেন।

এসময় উপজেলা পরিষদে ঢুকে গুলি করার ঘটনায় উদ্যেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ অফিস, মার্কেট ও উপজেলার গুরুত্ত্বপূর্ণ মোড়ে নিরাপত্তা জোরদারে সিসি টিভির আওতায় আনা সহ প্রত্যাহারকৃত সকল নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের জোর দাবী জানান।

পুলিশ সুপার মীর মোদাচ্ছের হোসেন বলেন, সরকারি অফিসে এসে একজন জনপ্রতিনিধিকে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। এই হত্যা কাণ্ডের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা মামলার এজাহারে নামিও আসামিদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছি শিগগিরই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

বাঘাইছড়ি থানার সার্কেল এএসপি আবদুল আওয়াল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম, ওসি বাঘাইছড়ি মোঃ আনোয়ার হোসেন খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, পৌর মেয়র জাফর আলী খান, প্রেস ক্লাব সভাপতি দীলিপ কুমার দাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন মামুন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, কাচালং সরকারি কলেজের বাংলা প্রভাষক মীর কামাল হোসেন, নাগরিক পরিষদের নেতা আবসার আলী, মোক্তার হোসেন সোহেল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য , গত বুধবার দুপুর পৌনে ১ টায় উপজেলা পরিষদে ঢুকে ইউপি সদস্য ও জেএসএস সংস্কার নেতা সমর বিজয় চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রীরা। সেদিন রাতেই জেএসএস সন্তু লারমা দলের ১৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহত সমর বিজয়ের ভাই ইউপি সদস্য বিনয় চাকমা। ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। এলাকায় নিরাপত্তা ব্যাবস্থা বাড়ানোর জোর দাবি করেন স্থানীয়রা।

যাযাদি/ এমডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে