শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৩০ শতাংশ চিকিৎসক দিয়ে চলছে নীলফামারীর জেনারেল হাসপাতাল

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী
  ১১ জুন ২০২১, ১৭:১০

মাত্র ৩০ শতাংশ চিকিৎসক দিয়ে চলছে নীলফামারীর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা। ফলে একদিকে চিকিৎসা সেবা যেমন মুখ থুবরে পড়েছে, অন্যদিকে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে হাসপাতালের সেবা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সাধারণ রোগীরা।

সূত্র মতে, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ৫৭টি। কিন্তু সেখানে রয়েছে মাত্র ১৭জন চিকিৎসক। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরপি) এবং আবাসিক সার্জনের ( আরএস) মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ থাকলেও একটিতেও নেই কোন চিকিৎসক। এ ছাড়াও রেজিষ্টার, সহকারী রেজিষ্টার ও সহকারী সার্জেনের ১৭ পদও শুন্য রয়েছে। শিশু, চর্ম ও যৌন, অর্থপেডিক্স ও প্যাথলজি বিভাগেও নেই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ফলে জরুরী বিভাগ, বর্হিবিভাগ ও আন্ত বিভাগে চিকিৎসা সেবা দিতে চিকিৎসকদের হিমশিম খাচ্ছেন।

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ অমল রায় বলেন, হাসপাতালে প্রতিদিন অনেক রোগী আসে। চিকিৎসকদের ইনডোরে রোগী দেখে আবার বর্হিবিভাগে রোগী দেখতে হয়। ফলে রোগীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। রোগীর চাপ অনেক বেশি হওয়ায় চিকিৎসকরাও কাঙ্খিত সেবা দিতে পারেন বলে তিনি মনে করেন। এছাড়া সাপোর্টিং স্টাফ না থাকায় রোগীদের স্বাস্থ্য বিধি মানাতেও বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ মেজবাহুল হাসান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ৫৭ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও পদায়ন আছেন মাত্র ১৭ জন। আমরা কোনভাবেই এতো কম সংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা কর্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি না।

এছাড়াও তিনি আরো বলেন, শিশু, চর্ম ও যৌন, প্যাথলজি ও অর্থোপেডিক্স বিভাগে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। হাসপালে ৬০ জন নার্সের পদও শুন্য। তৃতীয় শ্রেণির ৬১টি পদের ৪৪টি পদই শুণ্য রয়েছে। এতে কম সংখ্যক জনবল নিয়ে সেবা প্রদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা বিষযটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেছি।

উল্লেখ্য, ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতাল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করা হয়। ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পুরো কার্যক্রম শুরু হয়। নীলফামারী জেলার ৬ উপজেলার মানুষ এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। হাসপাতালের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযাযী, গত বছর এই হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ৭০ হাজার, বর্হিবিভাগে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।

যাযাদি/ এমডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে