বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

সাবেক এমপি হাজী রহিম উল্লাহ জনসংযোগ

ফেনী ও সোনাগাজী প্রতিনিধি
  ০৪ জুলাই ২০২৩, ১৩:১৭
সাবেক এমপি হাজী রহিম উল্লাহ জনসংযোগ

ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঁঞা) আসনের সাবেক সাংসদ হাজি রহিম উল্লাহ। গত ৫ বছর সাংসদ না হয়েও সাধারণ জনগনের জন্য নিরবে কাজ করে গেছেন আর জনগনও হাজি রহিম নামটি শুনলে তার সান্নিধ্য পাওয়াটাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

এ প্রসঙ্গে হাজি রহিম উল্লাহ বলেন, দল ও জনগনের পাশে গত ৩১ বছর ছিলাম, বাকি ভবিষ্যতে দল ও জনগনের সুখ দু:খে সব সময় কাছে থাকতে থাকতে চাই। তিনি আরো বলেন, যখনই এইসব গরীব অসহায় জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতা করার প্রয়োজন মনে করবেন, আমাকে জানাবেন, আমি আমার সাধ্যমতো সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।

উল্লেখ্য,২০১৪ সালে ১০ম জাতীয় সংসদ সদস্য থাকাকালে তিনি ছিলেন সফল। নির্বাচনী এলাকায় প্রায় ৭০-৮০ ভাগ কাঁচা রাস্তা পাকা করন সংস্কার ও নির্বাচনী এলাকায় শত ভাগ বিদ্যুতায়ন, জোরারগঞ্জ-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক উন্নয়নে যথেষ্ট অবদান, ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণ, গ্রামের প্রতিটি সড়কে স্ট্রীট লাইটও মসজিদ মাদ্রাসায় সোলার সংযোজন,বাড়ীতে বাড়ীতে গভীর নলকূপ স্থাপন, মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরন,সরকার কর্তৃক বরাদ্ধের সঠিক ভাবে মানবন্টন, এছাড়াও নিজের নামে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদ নির্মাণ করেন তিনি।

জানাযায়, ১৯৯২ সাল থেকে সোনাগাজী-দাগনভূঁঞা সহ ফেনীর এমন কোন নেতাকর্মী নেই যারা বিপদে আপদে,ঈদে ও বিশেষ দিবসে, হাজী রহিম উল্যাহর কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা পায়নি। একটা সময় পর্যন্ত সকল দলীয় অনুষ্ঠানের খরচ তিনি একাই বহন করে যেতেন।

অথচ দলের দুর্দিনে নেতাকর্মী আস্থার মানুষটিকে রাখা হয়নি জেলা- উপজেলার কোন সাংগঠনিক কোন দায়িত্বে বার বার রাখার কথা থাকলেও কেন তা বাস্তবায়ন হয়নি ।

২০১৪ সালে ১০ম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে ফেনী-৩ থেকে নির্বাচিত হয়ে জনগণের আস্থা ও ভালবাসার মানুষ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করনে। একেবারে সাধারণ একটি পরিবার থেকে উঠে আসা দল প্রিয় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যাহ মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পরিবারের ৯ জন সদস্যকে হারিয়েছেন।

ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঁঞা) ও আ,লীগ নেতা হাজী রহিম উল্যাহ, বাংলাদেশের ইতিহাসে সম্ভবত এটি প্রথম যিনি প্রবাসে থেকে প্রথম ২০০৬ সালে দলীয় নমিনেশন পায় যা পরবর্তিতে ১/১১ সামরিক শাসন আমলে নির্বাচন বাতিল হয়।

১৯৮২-৮৮ সালে তকালীন বিরোধীদের একাধিক মামলা মাথা নিয়ে প্রথমে পাকিস্তান পরে সৌদি আরবে প্রবেশ করে সেখানে ব্যাবসা-বাণিজ্যর পাশাপাশি রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় মননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজর কাড়েন। পুরষ্কার সরূপ জেদ্দা মহানগর আ,লীগের ২১ বছর সভাপতি, দলীয় মনোনয়ন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০১ সালে বিএনপি-জামাতের শাসন আমলে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ভাবে খুন হয় তাঁর আপন বড় ভাই হাজী আব্দুল রশিদ সরকার ও ২০০৭ সালে আবারো বিএনপি-জামাতের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয় তাঁর ভাতিজা মাহফুজ। মাহফুজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে কপিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক,সড়ক পরিবহনও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি ।

প্রচন্ড সাহসী হাজী রহিম উল্যাহ রাজনীতিতে সংসদ সদস্য হিসেবে যেমন সফল তেমনি ব্যবসায়ী হিসেবেও সফল।

কিন্তু দল করতে গিয়ে হারিয়েছেন যেমন পরিবারের সদস্যদের ব্যয় করেছেন দেশ-বিদেশ শত শত কোটি টাকা। তবে অর্জন করেছেন তৃনমুলের নেতা-কর্মীদের অফুরন্ত ভালবাসা।

গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে তিনি বর্তমান সাংসদ মহাজোট সমর্থিত জাতীয়পার্টির প্রার্থী লেঃ জেঃ (অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে ফেনী-৩ থেকে সমর্থন দেন।

বর্তমানে স্বপরিবারে ঢাকার ধানমন্ডিতে বসবাস করছেন তৃনমূল থেকে উঠে আসা হাজী রহিম উল্যাহ।

ফেনী-৩ নির্বাচনী এলাকায় বর্তমান এখনো জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন। সোনাগাজীর জনগন মনে করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগীদের মূল্যায়নের যে ঘোষণা করেছেন তা ত্যাগী ও বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে হাজী রহিম উল্যাহকে মূল্যায়ন করবেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে