সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশী সবজি স্কোয়াশ চাষে সফলতার সপ্ন দেখছেন মানিকছড়ির মিন্টু মারমা

মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৪

খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে প্রথমবারের মতো অধিক গুণাগুণ সমৃদ্ধ বিদেশী সবজি স্কোয়াশ চাষ করে সফল হয়েছেন স্থানীয় সংবাদকর্মী ও কৃষি উদ্যোক্তা চিংওয়ামং মারমা মিন্টু। চলতি মৌসুমে ১০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে এই বিদশী সবজি চাষ করেছেন তিনি। এরই মাধ্যমে এই উপজেলায় প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে এই সবজি। নিয়মিত পরিচর্যায় ফলন এসেছে আশানুরূপ।

স্কোয়াশ কুমড়ার একটি ইউরোপীয় জাত, যা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং ডায়াবেটিস, ক্যানসার ও হার্টের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। স্কোয়াশ মূলত উত্তর আমেরিকা ও মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাষ হয়ে থাকে। স্কোয়াশ অনেকটা দেখতে শশা আকৃতির। এটি শশার মতো লম্বা হলেও রং মিষ্টি কুমড়োর মতো। চাষ পদ্ধতিও মিষ্টি কুমড়োর মতোই। একটি স্কোয়াশ ওজনে ২-৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। উচ্চ ফলনশীল জাতের এ সবজি ভাজি, মাছ ও মাংসের তরকারিতে রান্নার উপযোগী, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এছাড়া এটি সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়।

এ নিয়ে কৃষক মিন্টু মারমা জানান, 'বেসরকারি সংস্থা আইডিএফ'র ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় পরীক্ষামূলকভাবে ১০শতাংশ জমিতে এছর তিনি স্কোয়াশ চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে প্রতিটি গাছেই ফুল-ফলে পরিপূর্ণ হয়েছে'। তিনি আরও জানান, স্কোয়াশ আবাদের সুবিধা হচ্ছে অল্প সময়ে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে ফসল উৎপাদন করা যায়। তাছাড়া এক বিঘা জমিতে যে পরিমাণ কুমড়া লাগানো যায় তার চেয়ে দ্বিগুণ স্কোয়াশ লাগানো সম্ভব। পূর্ণবয়স্ক একটি স্কোয়াশ গাছ অল্প জায়গা দখল করে। স্কোয়াশের একেকটি গাছের গোড়ায় ৮ থেকে ১২টি পর্যন্ত ফল বের হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই খাওয়ার উপযোগী হয় এটি। বাজারে প্রতি কেজি স্কোয়াশ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। উচ্চ ফলনশীল এই জাতের ফসল ভাজি, মাছ ও মাংসের সঙ্গে রান্না করে খাওয়া যায়। এটা খেতেও সুস্বাদু।

আইডিএফের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রুবেল হোসেন বলেন, 'স্কোয়াশ সবজিতে ভিটামিন সি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসহ নানা খাদ্য গুণাগুণ রয়েছে। চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ১০শতাংশ জমিতে স্কোয়াশের প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। ফলনও খুবই ভালো হয়েছে। ভবিষ্যতে কৃষি বিভাগের সাথে সমন্বয় করে স্কোয়াশের বানিজ্যিক চাষাবাদের বিকাশ হবে'।

মানিকছড়ি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান জানান, 'স্কোয়াশ উচ্চ ফলনশীল জাতের একটি সবজি। এখানকার মাটি স্কোয়াশ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। মিন্টু মারমার আবাদকৃত এই ফসলের ভালো ফলন এসেছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। উপজেলায় দেশীয় সবজি বাজারে এই স্কোয়াশ নতুন মাত্রা যোগ করবে'। এই সবজি চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে কৃষি অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন তিনি।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে