নওগাঁর মান্দায় দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ভূক্তভোগী ওই নারীর দেওয়া তথ্যমতে শনিবার বেলা ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে হারুন অর রশীদ (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত হারুন অর রশীদ সাহাপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।

ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানান, ‘আমি নওগাঁ শহরের একটি ক্লিনিকে আয়ার কাজ করি। কাজের সুবাদে স্বামীকে নিয়ে শহরের দয়ালের মোড়ে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতাম। পারিবারিক বিষয় নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় কয়েক মাস আগে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়।’

সম্প্রতি মোবাইলফোনের সূত্র ধরে লুদু নামে মান্দা ফেরিঘাট এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার পর আমাকে ফেরিঘাট এলাকায় নিয়ে আসে এবং রাত ৮টার দিকে চার্জারভ্যানে আশপাশে ঘুরে মান্দা সদর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার একটি কলাবাগানে নিয়ে যায়। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে হত্যার ভয় দেখিয়ে একে একে আটজন আমাকে ধর্ষণ করে।’

নেত্রকোনায় বোরো ধানের বাম্পার  ফলন ॥ কৃষকের মুখে হাসি

তিনি আরও বলেন, ‘সুযোগ পেয়ে চিৎকার দিলে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে ওইসব লোকজন আমাকে উদ্ধার করে পুলিশের জিম্মায় দেয়।’

এব্যাপারে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মোজাম্মেল হক কাজী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তার দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে হারুন নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

যাযাদি/ এস