শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নয়নের আরেক নাম বাংলাদেশ

উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ঘুষ, দুর্নীতি কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। দেশের উন্নয়নে সামাজিক স্থিতিশীলতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি সামাজিক ন্যায় বিচার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সর্বোপরি স্বাধীনতায় উজ্জীবিত হয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়।
মোহাম্মদ নজাবত আলী
  ২৫ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

স্বাধীনতার ৪৮ বছরে শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের সারিতে পা দিয়েছে। এটা বাঙালি জাতির গর্ভ ও আনন্দের বিষয়। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতি এক কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছিল। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে ৪৮ বছরে পা দিয়েছে। এ দীর্ঘ সময় একটি জাতির ইতিহাসে একেবারে কম সময় নয়। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, সংঘাত, গণতান্ত্রিক দ্বৈন-দশার মধ্যে দিয়েও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থেমে নেই।

যা হোক, '৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে স্বাধীন বাংলাদেশর যাত্রা শুরু হয়েছিল তা নানা পথ পরিক্রমায় দেশটি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নের পথে। স্বাধীনতার ৪৭ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধির পথে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশংসা অর্জন করেছে। মানুষের জীবন যাত্রা উন্নতির পথে। গড় আয়ু বেড়েছে, কমেছে শিশু মৃতু্যর হার। মানুষের আয় বেড়েছে। এক সময় উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় মঙ্গা নামক শব্দটি জনগণ ভাগ্যের লিখন বলে মনে করলেও সে উত্তর জনপদে মঙ্গার অস্তিত্ব আর নেই। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও সুষ্ঠু কর্ম পরিকল্পনায় দেশ এখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে। কৃষি, শিল্প, শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। বিশেষ করে নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে প্রশংসা অর্জন করলেও নারী নির্যাতন বন্ধ হয়নি। প্রতি বছর শিক্ষার হার বাড়ছে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি হলেও দক্ষ মানবসম্পদ এবং শিক্ষার মান নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন রয়েছে। কৃষিতে বিপস্নব ঘটেছে। অধিক খাদ্য উৎপাদনের ফলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন। কৃষি উপকরণের সহজলভ্য ও প্রাপ্ততায় কৃষি উৎপাদন দ্বিগুণ হলেও অধিকাংশ সময় কৃষকরা ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হলে তাদের মধ্যে বলতে দ্বিধা নেই এক ধরনের অস্বস্তি রয়েছে। কৃষকরা রোদ, বৃষ্টি, ঝড় উপেক্ষা করে ক্ষেত-খামারে দিন রাত পরিশ্রম করে ফসল ফলায় তারা ন্যায্য মূল্য পাবেন না বিষয়টি দুঃখজনক। তাই কৃষি পণ্যের নায্য মূল্য নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তা না হলে আমাদের কৃষক সমাজের উন্নয়ন হবে না। কারণ বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। এ খাতের উন্নয়ন হলেও এ খাতের সঙ্গে যারা জড়িত সে অবহেলিত কৃষক সমাজের তেমন উন্নয়ন ঘটেনি। তাই কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। বর্তমান সরকারের আমলে খাদ্যের স্বয়ং সম্পন্নতার যে ইতিহাস রচিত হয়েছে এর সিংহভাগ কৃতিত্ব কৃষক সমাজের। ফলে ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতির ধরণ। কৃষির উন্নয়নের সঙ্গে শিল্পের উন্নয়ন হচ্ছে। ফলে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির সঙ্গে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। এ অবস্থাকে বাংলাদেশের অর্থনীতি অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য বিশ্ব ব্যাংকের।

এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, এ দেশের মানুষ খুবই কষ্ট সহিষ্ণু তারা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করছে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রানান্তর চেষ্টায় তারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। দেশ-বিদেশি নানা কাজে নিয়োজিত থেকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছে। তাই বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরার ভূমিকায় পালন করছে বিদেশে কর্মরত প্রায় ৮০ লাখ কর্মজীবী নারী-পুরুষ। তাদের প্রেরিত অর্থ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে ভারী করছে। শত প্রতিকূলতার মাঝেও বাংলাদেশকে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর শক্তি জোগাচ্ছে। মধ্যপ্রচ্যের বিভিন্ন দেশের কর্মরত শ্রমিকরা তাদের পাঠানো অর্থ এক দিকে তাদের পরিবারকে স্বাচ্ছন্দে রাখছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভীতকে মজবুত হচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জনশক্তি রপ্তানিতে যেসব দেশে নিয়ম কানুন বা বাধা বিপত্তি রয়েছে তা দূর করে জনশক্তি রপ্তানিতে স্বচ্ছতার প্রতিষ্ঠার যে প্রয়াস চলছে তা অব্যাহত রাখতে হবে। কেন না সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে তাদের কর্মপ্রচেষ্টা ও বৈদেশিক অর্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যে বাংলাদেশকে এক সময় তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আর এই বাংলাদেশ সেই বাংলাদেশ নয়, বাংলাদেশ এখন সমৃদ্ধির পথে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিকরা বা চাকরিজীবীর আয় বাংলাদেশে প্রতিমাসে বৈদেশিক মুদ্রা আসে ১শ কোটির মতো। বর্তমান বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। এ বিপুল জনগোষ্ঠীকে যদি প্রকৃত শিক্ষা, মনন, মেধায় গড়ে তোলা যায় তাহলে তারা হবে দেশের সম্পদ। কারণ মানুষের শ্রম মেধা কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি সম্ভব। তাই বিপুল জনগোষ্ঠীকে যদি সত্যিকার অর্থে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা যায় তাহলে বাংলাদেশ দ্রম্নত উন্নত রাষ্ট্রের সারিতে পৌঁছে যাবে। এ জন্য প্রয়োজন একটি সুচিন্তিত মানবসম্পদ উন্নয়ন নীতিমালা এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তি নির্ভর কারিগরি শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের পথ তৈরি করা।

শুধু বিদেশি রেমিট্যান্সি নয়, আমাদেও তৈরি পোশাক শিল্প খাত জাতীয় অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শুরু থেকেই বাংলাদেশের পোশাক বিদেশিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রশংসা অর্জনের পাশাপাশি ক্রমান্বয়ে এর চাহিদাও বাড়ছে। এই শিল্প প্রায় ১.৫ বিলিয়নের লোকের কর্মসংস্থানের সুব্যবস্থা করেছে। একই সঙ্গে অর্জন করছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা- যা আমাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পোশাক শিল্পের তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানির অর্থ জাতীয় অর্থনীতির এক অবিচ্ছেদ্যে অংশে পরিণত হয়েছে। সুতরাং আমরা বলতে পারি, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন শ্রমিকের পাঠানো রেমিট্যান্সের পর বৈশিক মুদ্রা আয়ের সবচেয়ে বড় খাত পোশাক শিল্প। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক দেশের অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কিরূপ অবদান রাখছে। এক কথায় বলতে গেলে বাংলাদেশে রেমিট্যান্সের পর বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সবচেয়ে বড় খাত পোশাক শিল্প। সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে এ শিল্পকে শীর্ষে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তবে কিছু অসুবিধা, প্রতিবন্ধকতা রয়েছে যা দূর করা জরুরি। রাজনৈতিক অস্থিরতা, ভবন ধস, অগ্নিকান্ড, উপযুক্ত কর্মপরিবেশের অভাব ইত্যাদি। কিন্তু এত কিছু অসুবিধার মধ্যেও এ শিল্প বহির্বাণিজ্যে অনেক দূর এগিয়েছে। বাংলাদেশকে তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। ভবিষ্যতে এ শিল্পের আরও বিকাশ ঘটাতে হলে এ শিল্পে বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা দূরীকরণের উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের পোশাক শিল্পের সমস্যা নিয়ে বিশ্বব্যাংক এক প্রতিবেদনে উলেস্নখ করেছিল, অগ্নিকান্ড, কর্মপরিবেশ, শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে এ শিল্প থেকে ২০২০ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ৪২ বিলিয়ন ডলার উন্নীত করা সম্ভব। সুতরাং এ শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা বিনষ্ট না হয় সেদিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে।

কৃষি শিল্প, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগোচ্ছে। গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ, রাস্তাঘাট, যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রকৃত উন্নয়ন ঘটছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছরে দেশের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় প্রকল্পগুলোর কোনোটির বাস্তবায়ন হয়েছে, কোনোটি বাস্তবায়নের পথে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে পদ্মাসেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পথে। আমাদের বহু প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে এখন বাস্তবায়নের পথে। পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ একটি শক্ত অবস্থানে দাঁড়াবে এবং জাতি হিসেবে এটা আমাদের গর্ব। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা এখন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত, বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পা দিয়েছে। প্রায় অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ উলেস্নখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টিহীনতা দূর করা ও দারিদ্রের হার কমিয়ে আনার দিক থেকে শক্তিশালী ভারত পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। তবে কোনো কোনো পরিসংখ্যান উন্নয়নের ইতিবাচক চিত্রের প্রমাণ দিলেও কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য বেকারত্ব। বেকারত্বের মূল কারণ কর্মসংস্থান। তাই শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার মধ্যেও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থেমে নেই, যা বাস্তব ও দৃশ্যমান।

প্রকৃত উন্নয়ন ঘটাতে হবে গ্রামীণ অর্থনীতির। প্রান্তিক চাষি, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন সার্বজনীন হবে না। যারা খাদ্যের জোগানদাতা তাদের সমস্যা অনুধাবন করতে হবে। কৃষক চায় তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য। তাই শুধু কৃষি উপকরণের সহজ লভ্যতায় নয় ধান, চাল, আলুসহ কৃষি পণ্যের উপযুক্ত মূল্য কৃষক যেন পায় তাদের যেন লোকসান গুণতে না হয় সেদিকে সরকারকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। সরকারকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী প্রান্তিক কৃষক, গ্রামীণ জনগোষ্ঠী তথা কৃষক সমাজের মুখে হাসি ফুটাতে না পারলে সরকারের উন্নয়ন ঢাকা পড়ে যাবে। তাই সরকারকে অবশ্যই সুষম ও সমতাভিত্তিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সাম্প্রতিককালে সিপিডির এক সমীক্ষায় দেখা যায়, সমাজের উঁচু স্তরের ৫ শতাংশ মানুষ নিচু স্তরের ৫ শতাংশ মানুষের চেয়ে ১২১ গুণ আয় বেশি করে। এ ধরনের বিরাট ধন বৈষম্য গণতন্ত্র ও ন্যায় বিচারের পরিপন্থী। এর প্রতিরোধ করতে গেলে অবশ্যই ঘুষ, দুর্নীতি রোধ করতে হবে। ঘুষ, দুর্নীতি সমাজের সাধারণ মানুষ করে না। বঙ্গবন্ধু তার শাসনামলে একবার বলেছিলেন, এ দেশের কৃষক তো দুর্নীতি করে না, দুর্নীতি করে সমাজের শিক্ষিত উপরতলার মানুষ। বঙ্গবন্ধুর এই উক্তিটি বর্তমান সামাজিক, রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে অস্বীকার কোনো উপায় নেই। ২৬ মার্চ। আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার ৪৮ বছরে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে আরও বিকশিত করতে হবে, প্রসার ঘটাতে হবে। কেননা, সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ঘুষ, দুর্নীতি কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। দেশের উন্নয়নে সামাজিক স্থিতিশীলতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি সামাজিক ন্যায় বিচার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সর্বোপরি স্বাধীনতায় উজ্জীবিত হয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়।

মোহাম্মদ নজাবত আলী: শিক্ষক ও কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<42479 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1