বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রত্যাশার ছন্দপতনেও আনন্দ, আছে কান্নাও

যাযাদি রিপোটর্
  ২০ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
আশানুরূপ ফল না পেয়ে এভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়ে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের এক শিক্ষাথীর্ Ñযাযাদি

রাজধানীসহ সারা দেশের নামিদামি কলেজগুলোর বিজ্ঞান বিভাগের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরই প্রত্যাশা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া। তবে গতবারের মতো এবারও ফল বিপযের্য়র কারণে এ বিভাগের বিপুল সংখ্যক শিক্ষাথীর্ কাক্সিক্ষত সাফল্যের সিঁড়ি থেকে ছিটকে পড়েছে। বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগেও ঘটেছে প্রত্যাশার ছন্দপতন। তবে এ সবকিছু ছাপিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মাতে খ্যাতনামা কলেজগুলোর মেধাবী শিক্ষাথীর্রা। উচ্ছ¡াসিত শিক্ষাথীের্দর বুকভরা আনন্দে ভাগ বসিয়েছে বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। আনন্দের এ মহাযজ্ঞে অংশ নিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ সবর্স্তরের কমর্কতার্-কমর্চারী।

তবে গতবারের চেয়েও এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ও পাসের হার কম হওয়ায় নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও শোনা গেছে চাপা কান্না। অঙ্ক ও ইংরেজিতে উপযুক্ত পাঠ্যদানের সুযোগ সৃষ্টি না করে কঠিন প্রশ্নপত্র তৈরির কারণে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ফল প্রকাশের পর ভিকারুননিসা নূন, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, নটর ডেম, সিটি কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, হলিক্রস ও ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল কলেজসহ রাজধানীর খ্যাতনামা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই হাসি-কান্নার মিশ্র চিত্র দেখা গেছে।

শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রায় এক দশক ধরে রাজধানীর নামিদামি কলেজগুলোতে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর আনন্দের যে তীব্র ¯্রােত বয়ে গেছে, গত দু’বছর ধরে তাতে আকস্মিক ভাটার টান ধরেছে। বিশেষ করে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির বিশাল ধসে তাদের দৃঢ় আস্থার ভিতে ভয়াবহ কঁাপন ধরিয়ে দিয়েছে। ভিকারুননিসা নূন কলেজের একাধিক শিক্ষিকা জানান, মাত্র দু’বছর আগেও এইচএসসি পরীক্ষার যে ফলাফল ছিল, সে তুলনায় তা ক্রমেই নিম্নগামী হচ্ছে। যা অনেকটা উদ্বেগের।

বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে ভিকারুননিসা নূন কলেজে গিয়ে দেখা গেছে, তীব্র গরম উপেক্ষা করে শিক্ষাথীের্দর সঙ্গে অসংখ্য অভিভাবক ক্যাম্পাসের ভেতরে-বাইরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুনছে। দুশ্চিন্তা কাটাতে শিক্ষাথীর্-অভিভাবকরা একে অপরের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতেছে। তবে এরই মাঝে কিছু সময় পর পর ঘড়ির দিকে চাইছে। দুপুর দেড়টার দিকে মাইকে ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই পুরো ক্যাম্পাসে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। তবে কাক্সিক্ষত সাফল্য না পেয়ে অনেককেই লজ্জা ও হতাশায় নীরবে মুখ লুকাতে দেখা গেছে।

ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটিতে ভালো ফল করার স্বপ্ন নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে নিবন্ধিত হয়েছিল এক হাজার ৮৫৩ জন। এদের মধ্যে চারজন বাদে সবাই উত্তীণর্ হয়েছে। খ্যাতনামা এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবার পাসের হার ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সারা দেশে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার ২২ দশমিক ৯৩ শতাংশ কমলেও এ কলেজটিতে এ বছর তা খানিকটা বেড়েছে।

কলেজ সূত্র জানায়, এ বছর মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯৯৭ জন শিক্ষাথীর্। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের এক হাজার চারশ’ পরীক্ষাথীর্র মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯২৩ জন। বাণিজ্য বিভাগের ২২২ জন পরীক্ষাথীর্র মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫২ জন। মানবিক বিভাগের ২৩৩ জন পরীক্ষাথীর্র মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২২ জন।

কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা শিক্ষাথীের্দর ফলাফলে সন্তুষ্ট। সারা দেশে যেখানে জিপিএ ৫ কমেছে, সেখানে আমাদের গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে শিক্ষক, শিক্ষাথীর্ ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।

প্রত্যাশিত ফলাফল পেয়ে আনন্দে উচ্ছ¡াসিত রুমানা হক জানায়, মা-বাবা এবং শিক্ষকদের সঠিক গাইডলাইন দেয়ায় তার কাক্সিক্ষত সাফল্য ধরা দিয়েছে। অনেকটা একই সুরে শিক্ষকদের গুণগান করেন জিপিএ-৫ পাওয়া অপির্তা। তার ভাষ্য, শ্রেণিকক্ষে তাদের যেভাবে পড়ানো হয়েছে, যেভাবে বিভিন্ন বিষয়ে নোট দিয়েছে তাতে কাক্সিক্ষত ফল পেতে মেধাবী শিক্ষাথীের্দর বেশি কষ্ট করতে হয়নি।

প্রচÐ রোদ ও গরম উপেক্ষা করে ভিকারুননিসা কলেজ ক্যাম্পাসে বেশ ক’জন শিক্ষাথীের্ক ঢাকঢোল বাজিয়ে দীঘর্ সময় উচ্ছ¡াস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এর ফঁাকে শিক্ষাথীর্-শিক্ষক ও অভিভাবকদের মিষ্টিমুখ করানোর হিড়িক পড়ে।

রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ : এ বছর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে অংশ নেয়া এক হাজার ৫৩৯ জন শিক্ষাথীর্র মধ্যে মাত্র একজন অকৃতকাযর্ হয়েছে। সে হিসেবে তাদের পাসের হার ৯৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৫৫ জন। বিজ্ঞান বিভাগে শতভাগ শিক্ষাথীর্ পাস করেছে। এ বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া এক হাজার ৫ জন শিক্ষাথীর্র মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮৫ জন। ব্যবসায় শিক্ষা শাখায়ও ৪১৯ জন শিক্ষাথীর্র মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৮ জন। মানবিক শাখায় ১১৫ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ জন। এ বিভাগে অকৃতকাযর্ হয়েছে একজন।

ফলাফল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শওকত আলম বলেন, ফলাফল আরও ভালো হতো। তবে মানবিক শাখায় একজন অকৃতকাযর্ হওয়ায় তারা কিছুটা পিছিয়েছে। আগামীতে যাতে কেউ অকৃতকাযর্ না হয় সে বিষয়টিতে তারা অধিক গুরুত্ব দেবে।

সারাদেশে পাসের হার কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার রেজাল্ট অনেকগুলো উপাদানের উপর নিভর্র করে। ছাত্রছাত্রী সংখ্যা, পড়াশোনার আগ্রহ, প্রশ্নপত্র, মেধার মান ইত্যাদি। সব বছর শিক্ষাথীের্দর মেধার মান এক হয় না। তাই ফলাফল কমবেশি হয়। তবে এবার প্রশ্নপত্র নিয়ে কোনো কথা উঠা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য ভালো দিক।’

‘রাজউক কলেজের আইসিটি বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্ন অন্য দেশের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিল ছিল না’- শিক্ষাথীের্দর এমন অভিযোগ সম্পকের্ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। এটা শুধু রাজউক কলেজে নয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেই এমনটি হয়েছে। তবে এটি পরীক্ষার ফলাফলে কোনো প্রভাব ফেলেনি বলে জানান তিনি।

গতকাল দুপুরে ফলাফল ঘোষণার পর কলেজ ক্যাম্পাসে কথা হয় ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত আশরাফুজ্জামান সৌরভের সঙ্গে। ফলাফল নিয়ে তিনি বলেন, এবার মেধার সঠিক মূল্যায়ন হয়েছে। যারা জিপিএ-৫ পাওয়ার যোগ্য শুধুমাত্র তারাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। যারা পাস করার যোগ্য তারাই পাস করেছে।

অন্যদিকে একই বিভাগের জিপিএ ৪.৫৮ পাওয়া শিক্ষাথীর্ সায়েকা আফরোজার দাবি, এবারের প্রশ্ন অনেক হাডর্ ছিল। যে কারণে কাক্সিক্ষত ফল পাওয়া যায়নি।

এ সময় আলভির ইসলাম ও লোপা আক্তারসহ জিপিএ-৫ প্রাপ্ত অন্যান্য শিক্ষাথীর্রা উচ্ছ¡াস প্রকাশ করে। তারা জানায়, এই সাফল্যের জন্য দীঘর্ সময় সাধনা করতে হয়েছে। অনেক কষ্ট করে এই ফল অজর্ন করেছেন। তাই এই দিনটি তাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

জিপিএ-৫ পাওয়া মহিদুর জানান, তার ভালো রেজাল্ট করার পেছনে কলেজের শিক্ষকদের পাশাপাশি তার মায়ের অবদান রয়েছে। ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায় মুহিদ। জিপিএ-৫ পাওয়া অপর শিক্ষাথীর্ নুশরাত জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএ পড়ার ইচ্ছা রয়েছে তার।

এদিকে কাক্সিক্ষত ফল অজের্ন ব্যথর্ বিপুল সংখ্যক শিক্ষাথীের্ক বিষাদমাখা মুখে কলেজ ক্যাম্পাসে উ™£ান্তের মতো ঘুরতে দেখা গেছে। রিয়াজুল নামে তাদের এক শিক্ষাথীর্ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকার একেকবার একেক শিক্ষা পদ্ধতি চালু করছে। এতদিন উচ্চ পাসের হার জিপিএ-৫ প্রাপ্তির কারণে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। তাই এবার এক ধাপে কমিয়ে আনা হয়েছে।’ তার অভিভাবকও ছেলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনেকটা একই সুরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

নটর ডেম কলেজ : রাজধানীর নটর ডেম কলেজে এ বছর পাসের হার ৯৯ শতাংশ। তিন বিভাগে মোট ৩ হাজার ৯৫ জন পরীক্ষাথীর্র মধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ৮৬ জন ছাত্র। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬৯ জন। ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবার গত বছরের চেয়ে ১৫ জন বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে। কলেজটির বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শতভাগ পাস করেছে। এক হাজার ৯৯৯ জন পরীক্ষাথীর্র মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৮৩৭ জন পরীক্ষাথীর্। কলেজটির বাণিজ্য বিভাগ থেকে ৬৯৪ জন পরীক্ষাথীর্র মধ্যে উত্তীণর্ হয়েছে ৬৮৬ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০৩ জন। মানবিক বিভাগের ৪০২ জন পরীক্ষাথীর্র মধ্যে উত্তীণর্ হয়েছে ৩৭৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ জন।

গত বছরের মতো এবারও এইচএসসির ফলাফলে ঈষর্ণীয় সাফল্য ধরে রাখায় প্রচÐ রোদ উপেক্ষা করে বঁাধভাঙ্গা উচ্ছ¡াস আর সীমাহীন আনন্দের জোয়ারে ভেসেছে নটর ডেম কলেজের মেধাবী শিক্ষাথীর্রা। তবে এ আনন্দ ¯্রােত থেমে থেমে খেই হারিয়ে ফেলেছে আশানুরূপ সাফল্য অজের্ন ব্যথর্ সহপাঠীদের বিষাদের সুরে।

আইডিয়াল কলেজ : রাজধানীর আরেক কলেজ মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। তিন বিভাগে মোট এক হাজার ১৫৮ জন পরীক্ষাথীর্র মধ্যে এক হাজার ১৪৪ জন পরীক্ষাথীর্ উত্তীণর্ হয়েছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীণর্ হয়েছে ৪৬২ জন পরীক্ষাথীর্। যাদের ৪২৭ জনই বিজ্ঞান বিভাগের। কলেজটির বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৭৯৪ জন পরীক্ষাথীর্র মধ্যে উত্তীণর্ হয়েছে ৭৯০ জন। বাণিজ্য বিভাগ থেকে ২৯৩ জন পরীক্ষাথীর্র মধ্যে উত্তীণর্ হয়েছে ২৮৬ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ জন। মানবিক বিভাগ থেকে ৭১ জন পরীক্ষাথীর্র মধ্যে উত্তীণর্ হয়েছে ৬৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন।

দুপুর দুইটার দিকে কলেজের অধ্যক্ষ ফল প্রকাশ্যের সঙ্গে সঙ্গে বাদ্যের তালে সমস্বর উচ্ছাসে ভি-সূচক চিহ্ন ও প্লেকাডর্ দেখিয়ে আনন্দে ফেটে পড়েন মেধাবী শিক্ষাথীর্রা। তবে যারা কাক্সিক্ষত ফল অজর্ন করতে পারেননি তাদের অনেকেই এ সময় চাপা স্বরে ডুকরে কেঁদে ওঠে। তাদের দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক সহপাঠী।

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া আকরাম হোসেন জানায়, সহপাঠীদের বেশ ক’জনের কাক্সিক্ষত ফল না হওয়ায় তার আনন্দ উচ্ছ¡াস বেশ খানিকটা ¤øান হয়ে গেছে।

কাক্সিক্ষত ফল না পাওয়ায় এ সময় কাউকে কাউকে কঁাদতে কঁাদতে কলেজ থেকে বের হতে দেখা গেছে। শিক্ষাথীের্দর বেশ ক’জন অভিভাবক বতর্মান শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষার মান নিয়ে ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

এদিকে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল কলেজ, হলিক্রস কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষাথীর্রা ভালো ফল করলেও সেখানে আগের মতো আনন্দ উৎসবের চিত্র দেখা যায়নি। কলেজ কতৃর্পক্ষ জানায়, প্রযুক্তির কারণে মোবাইল-ইন্টারনেটে আগেই পরীক্ষার ফল পাচ্ছে। এমনকি কোনো বিষয়ে কত পেয়েছে তাও জেনে যাচ্ছে। তাই আগের মত ফল জানতে শিক্ষাথীর্রা আর কলেজে আসছে না। তবে অনেকেই কলেজে এসেছে সহপাঠঅদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<4306 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1