বিশ্বকাপে দারুণ খেলেছেন তিনি। ফাইনালে একটি গোল করে ফ্রান্স শিরোপা জেতাতেও অবদান রেখেছেন পল পগবা। আগামী মৌসুমে কি তাহলে ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে জ্বলে উঠতে পারবেন তিনি? কোচ হোসে মরিনহো তো পরোক্ষভাবে পগবাকে একটা চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দিলেন! ফরাসি তারকাকে যেন বুঝাতে চাইলেন- এবার ক্লাবের হয়ে নিজেকে প্রমাণ করে দেখাও।
দলবদলের বাজারে রেকডর্ গড়ে ২০১৬ সালে জুভেন্টাস থেকে শৈশবের ক্লাব ম্যানইউতে নাম লেখান পগবা। কিন্তু পারফরম্যান্স দিয়ে কোচ কিংবা সমথর্ক কারোরই মন ভরাতে পারছিলেন না তিনি। যে কারণে গত মৌসুমে তাকে বেশ কয়েকটি ম্যাচে বেঞ্চে বসিয়ে রাখেন ম্যানইউ কোচ মরিনহো। তুমি ফমের্ নেই, তুমি ফমের্ নেই- এমনটা শুনতে শুনতেই বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন পগবা। গ্রæপপবের্ তেমন ভালো খেলতে পারেননি। তবে নকআউট পবর্ থেকেই নিজের সেরাটা দেখাতে শুরু করেন তিনি। আর একে একে সব সমালোচকদের মুখ বন্ধ হতে থাকে। যারা কদিন আগেও পগবার সমালোচনা করেছিলেন, তারাই বিশ্বকাপ জেতার পর ফরাসি মিডফিল্ডারকে ভাসান প্রশংসায়।
মরিনহোও পগবার প্রশংসা করেছেন। তবে প্রশংসার সঙ্গে একটা চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছেন তার শিষ্যকে। বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ জেতা একটি ইতিবাচক বিষয় হতে পারে। বিশ্বকাপ জেতা কিংবা দলকে যথেষ্ট সহায়তা করতে পারার সুযোগ অনেক বেশি খেলোয়াড়ের হয় না। পগবার জন্য ছিল এটি প্রথম বিশ্বকাপ এবং বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়াটা দুদার্ন্ত ব্যাপার। আমি আশা করি সে বুঝতে পারবে কেন এত ভালো ছিল (বিশ্বকাপে)। পারফরম্যান্স লেভেল এবং বিশ্বকাপজয়ী দলে তার অবদান- ওটা হচ্ছে বিষয়। তাকে বুঝতে হবে কেন সে ভালো খেলতে পেরেছে, বিশেষ করে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় অধের্। সেখানে সে ছিল একেবারে অসাধারণ।’
বিশ্বকাপ শিরোপাজয়ী পগবা এখন ছুটিতে। ম্যানইউর ৫ ম্যাচের গ্রীষ্মকালীন সফরে খেলবেন না তিনি। তাছাড়া ১০ আগস্ট ওল্ড ট্র্যাফোডের্ লেস্টার সিটির বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচেও দেখা যাবে না ফরাসি মিডফিল্ডারকে। এরই মধ্যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে সাবেক ক্লাব জুভেন্টাসে ফিরতে চান পগবা। সেখানে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে উড়ে যাওয়া ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে জুটি বঁাধতে চান তিনি। পগবা বিশ্বকাপ জেতার পর সম্প্রতি বলেছেন, ‘আমি কিন্তু কাপটা ইংল্যান্ডে নিয়ে যাচ্ছি না।’ তার মানে কী আর ম্যানইউতে ফিরবেন না তিনি? হতেও পারে। দেখা যাক, শেষতক কি ঘটে।