ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ ছিল সায়হাম টেক্সটাইলের। ফলে সপ্তাহের শেষ কাযির্দবসে লেনদেনের সাপ্তাহিক তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে আসে কোম্পানিটি। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানির মোট ১০৮ কোটি ৭৭ লাখ ১৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
বাজার পযের্বক্ষণে দেখা গেছে, লেনদেনের পাশাপাশি ডিএসইতে শেয়ারটির দরও বাড়ছে। গত সপ্তাহে সায়হাম টেক্সটাইল শেয়ারের দর বেড়েছে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। গত ১০ জুলাই ডিএসই কতৃর্পক্ষের চিঠির জবাবে কোম্পানিটি জানায়, স¤প্রতি শেয়ারের অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির নেপথ্যে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
ডিএসইতে বৃহস্পতিবার সায়হাম টেক্সটাইলের শেয়ারের সবের্শষ দর ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ বা ২ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে দঁাড়ায় ৩১ টাকা ৪০ পয়সায়। সমাপনী দর ছিল ৩১ টাকা, যা আগের কাযির্দবসে ছিল ২৮ টাকা ৬০ পয়সা। এদিন ১ হাজার ৭৪৯ বারে কোম্পানিটির মোট ৭৬ লাখ ৪৮ হাজার ১৬৫টি শেয়ার লেনদেন হয়।
এক বছরে শেয়ারটির সবির্নম্ন দর ছিল ১৭ টাকা ৫০ পয়সা ও সবোর্চ্চ দর ৩১ টাকা ৫০ পয়সা।
২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে সায়হাম টেক্সটাইল।
নিরীক্ষিত আথির্ক প্রতিবেদন অনুসারে সবের্শষ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২ পয়সা, আগের বছর একই সময় যা ছিল ৮৯ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দঁাড়ায় ২৬ টাকা ৯৪ পয়সায়। সবের্শষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আথির্ক প্রতিবেদন অনুসারে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই ২০১৭- মাচর্ ২০১৮) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৮১ পয়সা। ২০১৬ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পান এর শেয়ারহোল্ডাররা।