আজকের যায়যায়দিন

কয়েকদিন আগে শুভেন্দু অধিকারীসহ ছয় বিধায়ক ও এক এমপি বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বড় ধাক্কা খেয়েছিল ভারতের পশ্চিবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। এখন নতুন করে আবারও দলটিতে ভাঙনের সুর বাজছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, এবার দল ছাড়তে পারেন সাবেক অভিনেত্রী শতাব্দী রায় এবং রাজ্যটির বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদসূত্র : ডিডবিস্নউ নিউজ

শতাব্দী রায় জানিয়েছেন, শনিবার (আজ) তিনি তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। অন্যদিকে, বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক বেশ কিছুদিন ধরেই ভালো যাচ্ছে না। তিনিও আজ তার সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় জানিয়েছেন।

দিনকাল এখন বদলে গেছে। বলা ভালো, আমূল বদলে দিয়েছে সামাজিক মাধ্যম। রাজনৈতিক নাটকের সূচনাও হচ্ছে ফেসবুক, টুইটারের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। সেখানে দল ছাড়ার ঘোষণা পর্যন্ত হতে পারে। যার শেষতম নিদর্শন শতাব্দী ও রাজীব।

গত ১১ ডিসেম্বর রাজীব ফেসবুকে ঘোষণা করেছিলেন, শনিবার তিনি ফেসবুক লাইভ করবেন। সেখানেই ঘোষণা করবেন তার ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তের কথা। তাই রাজীবের ফেসবুক লাইভের দিকে তাকিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।

ইসরাইলি আগ্রাসন / গাজার রাফাহতে হামলার প্রস্তুতি চলছে

কিন্তু তিনি যদি সেখানে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন, সেটাও অভিনব হবে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে অন্তত কোনো মন্ত্রী, এমপি, বিধায়ক ফেসবুক লাইভ করে দল ছাড়েননি। শুধু তো রাজীব একা নন, তৃণমূল এমপি শতাব্দী রায়ও ফেসবুকের মাধ্যমেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।

শতাব্দী রায় নিজের ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তার শিরোনাম, 'বীরভূমে আমার নির্বাচন কেন্দ্রের মানুষের প্রতি'। সেখানে তৃণমূলের এই তারকা এমপি বলেন, 'অনেকে প্রশ্ন করছেন, কেন আমাকে বহু কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। তাদের বলছি, আমি সর্বত্র যেতে চাই। কিন্তু মনে হয় কেউ কেউ চান না যে, আমি আপনাদের কাছে যাই। বহু কর্মসূচির খবর আমাকে দেওয়া হয় না। যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেই, শনিবার (আজ) জানাব।'

এদিকে, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র বলেন, 'আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু বললে, তা সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। তাই এ মাধ্যমটিকে হাতিয়ার করে সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছানোকে গুরুত্ব দিচ্ছেন রাজনীতিকরা।