বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামেও শনাক্ত হলো বস্ন্যাক ফাঙ্গাস

চট্টগ্রাম অফিস
  ৩০ জুলাই ২০২১, ০০:০০
চট্টগ্রামেও শনাক্ত হলো বস্ন্যাক ফাঙ্গাস

চট্টগ্রামেও এক নারীর দেহে শনাক্ত হলো বস্ন্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস (কালো ছত্রাক)। আক্রান্ত নারী ৫০ বছর বয়সি। তিনি পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বুধবার রাতে বিষয়টি জানিয়ে চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এসএম হুমায়ুন কবির বলেন, 'এই মুহূর্তে আমাদের চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রোগীর চিকিৎসা চলছে। রোগীর শারীরিক অবস্থা আমরা পর্যবেক্ষণ করব, পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে; আমরা কী করব। প্রয়োজনে রোগীকে ঢাকায় পাঠানো হতে পারে।'

হাসপাতাল

সূত্র জানায়, শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেওয়ায় গত ২৪ জুলাই এই নারী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বুধবার রাতে তার শরীরে বস্ন্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হয়। এর আগে গত ৩ জুলাই করোনা আক্রান্ত হলেও ১৫ জুলাই পরীক্ষায় ওই নারীর করোনা নেগেটিভ আসে।

চিকিৎসকরা বলছেন, বস্ন্যাক ফাঙ্গাস দেশে আগেই শনাক্ত হয়েছিল। গোবরে, আকাশে-বাতাসে ছত্রাকটি আছে। এ ছাড়া অপরিচ্ছন্ন স্থান থেকেও এটা হতে পারে। খুবই ছোঁয়াচে একটি রোগ এই বস্ন্যাক ফাঙ্গাস। এতে আক্রান্ত হলে মৃতু্যহার ৫০-৫৪ শতাংশ। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তারা বস্ন্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

এ ক্ষেত্রে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। আইসিইউতে এই ওষুধ বেশি ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধ ব্যবহারের ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এ ছাড়া অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ক্যানসার রোগী, কিডনি রোগী এবং এইডস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। করোনা আক্রান্ত রোগীর ওপর স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ বেশি প্রয়োগ করা হয়। তাই করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাতে বাড়ে, সে জন্য ডাক্তারের পরামর্শে থাকতে হবে।

উলেস্নখ্য, গত ৮ মে সর্বপ্রথম ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ৪৫ বছর বয়সি এক রোগীর শরীরে ছত্রাকটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর গত ২৩ মে ৬০ বছর বয়সি আরেকজনের শরীরেও রোগটি পাওয়া যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে