শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এক ব্রিজেই মৌমাছির অর্ধশত চাক

শুভংকর পোদ্দার, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ)
  ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০
হরিরামপুরের সেই ব্রিজে মৌচাক -যাযাদি

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার একটি ব্রিজে প্রায় অর্ধশত বাসা বেঁধেছে মৌমাছির দল। উপজেলার বলড়া ইউনিয়নের পিপুলিয়া গ্রামের এ ব্রিজটিতে প্রায় ২০ বছর ধরে মৌমাছির বাস। স্থানীয়রা জানান, বছরের অন্যান্য সময় মৌচাকের সংখ্যা কম থাকলেও সরিষা মৌসুমে তা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসে মৌচাক দেখতে।

সরজমিনে দেখা যায়, মৌমাছিরা ব্রিজের দুই পাশে ও নিচের অংশে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত মৌচাক তৈরি করেছে। মৌচাক থেকে মৌমাছিরা ছুটে যাচ্ছে পাশের সরিষা ক্ষেতে, একটু পরেই ফিরে আসছে মধু নিয়ে।

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজের দুই পাশেই বিস্তীর্ণ জায়গাজুড়ে প্রতিবছরই সরিষার আবাদ হয়। এজন্যই সারাবছরের তুলনায় সরিষা মৌসুমে মৌচাকের সংখ্যা বেশি থাকে। তবে সারাবছরই ব্রিজে কম-বেশি মৌচাক থাকে।

বলড়া ইউনিয়নের পিপুলিয়া গ্রামের হাবেজা বেগম জানান, এই ব্রিজ নির্মাণের পর থেকেই মৌমাছিরা বাসা বেঁধেছে। সারাবছর মৌমাছি ও মৌচাকের সংখ্যা কম থাকলেও সরিষার মৌসুমে মৌমাছিরা অধিক মৌচাক তৈরি করে। ব্রিজে এক মৌসুমে ছোট-বড় মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১০১টি মৌচাক ছিল।

কুইস্তারা গ্রামের এলমেছ জানান, কার্তিক মাস থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত মৌচাকের সংখ্যা বেশি থাকে। তবে, চারপাশে সরিষার আবাদ হওয়ায় এই সময়টাতে মৌমাছি বেশি মৌচাক তৈরি করে। প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এখানে আসে মৌচাক দেখতে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফ্‌ফার বলেন, ওই এলাকায় বিস্তীর্ণ জায়গাজুড়ে সরিষা আবাদ হওয়ায় এই সময়ে মৌমাছির খাবার মধুর পরিমাণ বেড়ে যায়। এজন্য মৌচাকের সংখ্যা বেশি থাকে। এছাড়া, এ এলাকায় সারাবছরই অন্য ফুলের পরিমাণ বেশি থাকায় মৌমাছিদের স্থায়ী আবাস হয়েছে।

অন্যদিকে, মৌমাছি পরাগায়ণে উলেস্নখযোগ্য ভূমিকা রাখায় কৃষি উৎপাদনে অবদান রেখে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে