শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

​বানিয়াচংয়ের পদ্মবিলে দর্শনার্থীদের ভিড়

বানিয়াচং (হবিগনজ) প্রতিনিধি
  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৫৩

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে লক্ষ্মীবাউর জলাবন ও কমলারানীর দীঘির পর এবার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পদ্মবিলের সন্ধান পাওয়া গেছে। বানিয়াচং উপজেলার পুকুড়া ইউনিয়নের মুড়ারআব্দা হাওরে ১০ একর জায়গার ওপর রয়েছে এটি। নৌকায় চড়ে পদ্মফুল ও হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন জেলার নানান বয়সী দর্শনার্থীরা। প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের ভিড় লক্ষণীয়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও ছুটির পর সেখানে যাচ্ছেন। তাদের বেশিরভাগই মুহূর্তগুলো ধরে রাখছেন সেলফিতে।

হাওরে পদ্মবিলের কথা ফেসবুকে দেখে ঘুরতে এসেছেন হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তানজিনা খান সনেট। তার কথায়, ‘এখানে না এলে বোঝার উপায় নেই পদ্মবিল কত সুন্দর! পদ্মফুল দেখে আমি খুব আনন্দিত।’ একই কলেজের আরেক শিক্ষার্থী তমালিকা পোদ্দার বলেন, ‘সাধারণত কোনও হাওরে পদ্মফুল দেখিনি। এখানে এসে পদ্মফুল দেখে আমরা উচ্ছ্বসিত। এখানে ঘুরতে এসে বন্ধুবান্ধব মিলে অনেক আনন্দ করেছি।’ সহপাঠীদের সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন হবিগঞ্জ উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার। অনেক দিন ধরে হাওরে ঘুরতে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। তার ইচ্ছে, ‘সামনে পরিবারের সঙ্গে আবারও ঘুরতে যাবো পদ্মবিলে। পদ্মফুল দেখে অনেক ভালো লাগছে।’

হবিগঞ্জ শহরের বাসিন্দা রাইসা রাজরানীর অনুভূতি, ‘নৌকায় চড়ে হাওরে পদ্মফুল দেখা অনেক রোমাঞ্চকর ব্যাপার। পরিবারের সঙ্গে সেখানে সময় কাটাতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা এম বাবুল পরিবার-পরিজন নিয়ে পদ্মবিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। তার দৃষ্টিতে, ‘হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর।’ তবে শহরের বাসিন্দা মজনু মিয়ার অভিযোগ, পদ্মবিল থেকে অনেকেই পদ্মফুল ছিড়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে এর সৌন্দর্য হারাচ্ছে। তার মতো আরও অনেক দর্শনার্থী মনে করেন, পদ্মফুলসহ পদ্মবিল সংরক্ষণে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ভবিষ্যতে এই জায়গা হয়ে উঠতে পারে আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্স্থা নীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সম্প্রতি পদ্মবিল ঘুরে দেখে সংরক্ষণের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছেন। এজন্য তাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যাযাদি/এসএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে