মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটকচর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্র দখল করাকে কেন্দ্র করে রোববার বেলা ১২ টার দিকে আওয়ামীলীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকে বিকেল পর্যন্ত সহিংসতা উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ টি বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ১০ জন। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ভোটারদের মাঝে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়াও মস্তফাপুর, ঝাউদির তালতলাসহ কালকিনি কয়েকটি স্থানে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। মাদারীপুর-১ ও -২ আসনের সব কেন্দ্রে শান্তিপূর্নভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। কোথাও থেকে বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়ারা জানায়, মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের সমর্থক আকবর মাতুব্বর প্রথমে ভোট প্রদানে বাধার সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদ করেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের সমর্থক আফজাল মুন্সী। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা যায়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভোটকেন্দ্রের সামনে জড়ো হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ভোটকেন্দ্র দখলে নেয়ার চেষ্টা করে তারা। পরে ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পরপর ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল হাসান জানান, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একযোগে কাজ করে।
মাদারীপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ, স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম, জাতীয় পার্টি মো. আব্দুল খালেক, তৃণমূল বিএনপির প্রবীন হালদার, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নিতাই চক্রবর্তী, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রার্থী নকুল কুমার বিশ্বাস।
যাযাদি/এসএস