নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় কথিত ছাত্রলীগের এক নেতার তৃতীয় স্ত্রী নববধু শান্তা ইসলামকে (২২) পিটিয়ে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলা একরামপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ নিহত নববধূর লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহত শান্তা ইসলাম উপজেলার একরামপুর এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে। আর শান্তা স্বামী আরিফের সাথে একরামপুরস্থ আফতাব উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো।
নিহতের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১লা অক্টোবর আমার মেয়ের সাথে আরিফের সাথে প্রেম করে বিয়ে হয়।
বিষয়টি আমরা মেনে নিলেও জামাতা আরিফ প্রতিনিয়ত যৌতুকের জন্য নির্যাতন করত। আমার মেয়ে আমাদের বলার পর তাকে জিজ্ঞাসা করলে উল্টো আমাদের নানাভাবে হুমকি দিত।
গত রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে আমার মেয়ে আমাদের জানায় যৌতুকের জন্য সারাদিন নির্যাতন করেছে। সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে ওই বাড়ি হতে একজন ফোন করে জানায় মেয়ে ফাঁসি দিয়েছে। আমরা দ্রুত গিয়ে মেয়ের লাশ নামানোর পর দেখি শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন। আমরা নিশ্চিত আমার মেয়েকে আরিফ হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দক্ষিণ লক্ষনখোলা এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে লম্পট আরিফ তার প্রথম স্ত্রীকেও হত্যা করেছিল। প্রথম স্ত্রী পান্না আক্তারকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। যে মামলায় জেল খেটেছিল। জেল হতে বেরিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে। লম্পট আরিফ দ্বিতীয় স্ত্রীকে রেখে পুনরায় গত বছর ১ অক্টোবর তৃতীয় বিয়ে করে। যাকে পুনরায় পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আরো জানান, অভিযুক্ত আরিফ স্থানীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ক্ষমতাসীনদলের নেতাকর্মীদের সাথে ছিল তার দহরম মহরম সম্পর্ক। এজন্য একের পর এক অভিযোগ করার পরও খুব সহজেই আরিফ পার পেয়ে যেত বলে স্থানীয়রা জানান।
এ বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
যাযাদি/ এম