সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফেনীর দাগনভুইয়াতে রাতের আঁধারে পালিয়ে গেল অভিযুক্ত সেই এনজিও ম্যানেজার

ফেনী ও দাগনভুইয়া প্রতিনিধি
  ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০১

নারী গ্রাহককে যৌন হয়রানির অভিযোগে রাতের আঁধারে পালিয়ে গেল সেই গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) এনজিও ম্যানেজার জহিরুল হক (৪০)। তার বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার ওই নারী গ্রাহক থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে অভিযোগ করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, তিনি গতকাল রাতেই কাউকে কিছু না বলে পালিয়ে যায়। সাথে অফিসের গ্রামিণ ফোনের সিম কার্ডটিও নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, এঘটনায় এরিয়া ম্যানেজার ও গাক’র নিয়োজিত আইনজীবীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা থানার ওসির সাথে কথা বলেছেন।

জানাগেছে, স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে ওই নারী গ্রাহকের সাথে আপত্তিকর ঘটনার সিসি ক্যামেরার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হলে রাতের আঁধারে জহিরুল পালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি সকালে (......) এক নারী গ্রাহককে ৫ লক্ষ টাকা লোন দেওয়ার কথা বলে প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ জানুয়ারি সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিন আলীপুর ভিকটিমের নিজ বসতঘরের সামনে।

ভূক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, গত ১৬ জানুয়ারি সকালে ভিকটিমকে ৫ লক্ষ টাকা লোন দিবে বলিয়া ৫০ হাজার টাকা জামানত নেয়ার জন্য বাড়িতে আসে। টাকা দেওয়ার পর এনজিও ম্যানেজার জহিরুল হক ভিকটিমকে কোনো কিছু না বলে জড়িয়ে ধরে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ধস্তাধস্তি করে জোরপূর্বক যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। পরে ভিকটিমের শৌর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসার পর বিবাদী কাউকে কিছু না বলে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে পালিয়ে যায়। তিনি ওই ম্যানেজারকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।

এছাড়াও জহিরুল হকের বিরুদ্ধে ওই এনজিও’র সাবেক নারী (.......) পরিচ্ছন্নকর্মীকে যৌন হয়রানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ওই পরিচ্ছন্নকর্মী জানান, তিনি বিভিন্ন সময় আমার গায়ে স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করার চেষ্টা করে। পরে আমাকে চাকরিচ্যুত করে।

অভিযোগ অস্বীকার করে গাক এনজিও ম্যানেজার জহিরুল হক বলেন, আমি ওই গ্রাহক থেকে জামানত বাবদ কোনো টাকা নেয়া হয়নি। তিনি এর আগে ১ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। অনেক কালক্ষেপন করে ঋণের সমুদয় টাকা পরিশোধ করে পরবর্তীতে তিনি আবার ৫ লক্ষ টাকা লোনের জন্য আবেদন করে। যেহেতু তিনি কিস্তির টাকা যথা সময়ে পরিশোধ করতেন না। তাই তাকে ঋণ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তিনি আমার বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যা অপপ্রচার করে আসছে। ওই পরিচ্ছন্নকর্মীর অভিযোগও অস্বীকার করে তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন কর্মীর সাথে অফিসের সাবেক এক হিসাব রক্ষকের সাথে আপত্তিকর অভিযোগ ওঠায় তাকে ১৫ দিনের মধ্যে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

দাগনভুইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আবুল হাসিম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করা হয়। তদন্তে ওই নারী গ্রাহকের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। ঋণ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। ঋণ দিতে অস্বীকার করলে ওই নারী গ্রাহক এমন অভিযোগ করে।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে