বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে নৌ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশের আইজিপি

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০১
চট্টগ্রামে নৌ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশের আইজিপি

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, নৌ তদন্ত কেন্দ্রের মাধ্যমে বন্দরের নিরাপত্তার পাশাপাশি বন্দরের কার্যক্রমের গতিশীলতাও বৃদ্ধি পাবে। পর্যায়ক্রমে কর্ণফুলীর রাঙাদিয়া, চাক্তাই ও গুপ্তখাল এলাকায় ও নৌ-তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। চট্টগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ন এলাকা, এখানে নৌ তদন্ত কেন্দ্র চালুর মাধ্যমে এ এলাকার পাশাপাশি নৌ এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে আমাদের সদস্যরা কাজ করবেন। বাংলাদেশ পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনি। দুই লাখ সদস্যের এ বিশাল বাহিনী সরকারের বিধিবিধান মেনে আমরা শৃঙ্খলা বজায় রাখি। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা জিরো টলারেন্সের নীতি গ্রহণ করি। আমাদের সদস্যরা যথাযতভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে এবং পেশাদারিত্বের মাধ্যমে আমরা ঈর্শনীয় একটা পর্যায়ে অবস্থান করছি।

রবিবার বেলা ১১ টার সময় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের ডাঙ্গারচর এলাকায় 'ডাঙ্গারচর নৌ তদন্ত কেন্দ্র’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইজিপি এসব বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এএসএম মাহাতাব উদ্দিন, বন্দর ডিসি শাকিলা শারমিন, নৌ-পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সুপার (এসপি) আ ফ ম নিজাম উদ্দিন, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী, এসি আরিফ হোসেন, ওসি জহির হোসেন প্রমুখ।

ঢাকার বংশালে পুলিশ হেফাজতে বডি বিডারের মৃত্যুর ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, যেকোনো মৃত্যুই অনাকাঙ্খিত। এই ধরনের ঘটনা সংগঠিত হলে সাথে সাথে মেজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল ও পোস্টমর্টেম হয়ে থাকে। এসবের প্রতিবেদনের মাধ্যমে যে তথ্য বেরিয়ে আসে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের হেফাজতে যদি মৃত্যু হয় তাহলে এটার একটা প্রটোকল আছে সেটা আমরা অনুসরণ করি।

মায়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় চলমান সহিংসতা সম্পর্কে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বিজিবি কাজ করছে। আমরা বিজিবির সাথে সম্বনয় করে কাজ করছি। বিজিবি আমাদের কাছে আইনানুগভাবে যে সহযোগিতা পাবে আমরা বিজিবিকে সে সহযোগীতা দিবো।

পুলিশের নজরদারির পরও বাসাবাড়িতে স্বর্ণ চুরির ঘটনা সম্পর্কে আইজিপি বলেন, একটা ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। ঘটনার পর ৭০ ভাগ স্বর্ণ উদ্ধার করেছি। পুলিশ আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে। আমাদের সামর্থ অনুযায়ী মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছি। ঘটনা যারাই করুক কাউকে ছাড় দিচ্ছিনা। আমাদের লোকও যদি জড়িত হয় তাকেও ছাড় দিচ্ছিনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মালামালও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে