শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

হালুয়াঘাটে প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ

হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৪
ছবি-যায়যায়দিন

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার কৈচাপুর ইউনিয়নের জোকাবিলের কান্দা বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্থাপনাসহ আসবাবপত্র ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক এমদাদুল ইসলাম বাদী হয়ে জোকাবিলের কান্দা গ্রামের আমিনুল ইসলামের পুত্র জনি মিয়া, জিহাদ মিয়া ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন এর পুত্র আমিনুল ইসলাম এর নাম উল্লেখ করে আরো ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে প্রকাশ, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে দেশীয় অস্ত্রস্বস্ত্র নিয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ জোকাবিলের কান্দা বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জোরামূলে ভোগদখলের চেষ্টায় স্থাপনাসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করে ও ৫০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক এমদাদুল ইসলাম এর পিতা মৃত আব্দুল মতিন কড়ইকান্দা মৌজার হাল ১১৬৪ দাগের ৩৫ শতাংশ ভুমি জোকাবিলের কান্দা বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে রেজিষ্ট্রি দলিল দিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক এমদাদুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ এ কল করে থানা পুলিশকে বিদ্যালয় ভাংচুরের বিষয়টি অবগত করি। কিন্ত পুলিশ আসার পূর্বেই সন্ত্রাসীরা বিদ্যালয়টি ভাংচুর করে চলে যায়। উল্লেখিত ব্যক্তিরা প্রায় দুই বছর যাবত উক্ত সম্পত্তির মিথ্যা ভিত্তীহীন মালিকানা দাবী করে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা দায়ের করে হয়রানি করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্টানটি সরকারি নীতিমালায় অন্তভূক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির সহকারি শিক্ষিকা আশরাফা আক্তার জানান, জনি মিয়া একজন সন্ত্রাসী ও বখাটে প্রকৃতির ছেলে। সে ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী ভাড়ায় এনে তাদের বিদ্যায়লয়টি ভাংচুর করেছে। সে কোন এক এডভোকেটের মহরী, তাই আইন বলতে তার কাছে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য বলে দিন দুপুরে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা প্রশাসনের নিকট ন্যায় বিচার দাবী করেন।

স্থানীয়রা বলেন বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন যাবত চলমান রয়েছে। কিছুদিন পরপর জনিগং বিদ্যালয়ের ক্ষতি সাধন করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়টি ভাংচুর করে। বিদ্যালয় ভাংচুরের জন্য জনিগংদের শাস্তির দাবী জানায়। এ বিষয়ে জনি মিয়া এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান, প্রায় দুই যুগ পূর্বে তার দাদা রেজিষ্ট্রি দলিল মূলে বিদ্যালয়ের নামে জায়গা দিয়ে ছিলেন। কিন্ত সরকারী ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না হওয়ায় তারা বিদ্যালয়টি ভাংচুর করেছেন। উক্ত ভূমির প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনি খাজনা পরিশোধ করেছেন। সরকারী ভাবে অনিবন্ধিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবেদন বাতিল করেছে। তিনি কোর্টের একজন স্টাফ বলে জানান।

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুল হক জানান, ৯৯৯ এর মাধ্যমে বিদ্যালয় ভাংচুরের সংবাদটি পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করি। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার পূর্বেই কতিপয় ব্যক্তিরা বিদ্যালয়টি ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্ব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে