বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

অসহনীয় গরমে প্রশান্তি ফুটপাতের শরবত কদর বেড়েছে

হাসমত আলী, দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
  ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৩
অসহনীয় গরমে প্রশান্তি ফুটপাতের শরবত কদর বেড়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে তীব্র দাবদাহ। তবু মানুষকে জীবন-জীবিকার টানে গুরুত্বপূর্ণ কাজে ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে। জেলাতে প্রতিদিনই প্রায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বয়ে যচ্ছ । আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এতো গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। অসহ্য গরমে সামান্য প্রশান্তির খোঁজে মানুষ ছুটে চলেছেন ভ্রাম্যমাণ লেবু শরবতের দোকানে। লেবু শরবতের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে বসেছে লেবু শরবতের দোকান।

প্রতিদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দিনের তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে এসব দোকানে সব বয়সের মানুষের ভিড়ও বাড়ছে। লেবু শরবত বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লেবু, ট্যাং, বিট লবণ মিশ্রিত লেবু শরবত বিক্রি হচ্ছে নানা দামে। এক টুকরো লেবুর রস, বিট লবণ, ট্যাং আর ঠান্ডা পানি মিশ্রিত এক গ্লাস লেবু শরবত বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। শুধু লেবুর রস, বিট লবণ আর ঠান্ডা পানিমিশ্রিত এক গ্লাস শরবত বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।

উপজেলার দামুড়হুদার বাসস্ট্যান্ডে, কার্পাসডাঙ্গার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে, দর্শনা পৌরসভার পুরাতন বাজার, বাসস্ট্যান্ডে, বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখা যায়, ভ্রাম্যমাণ লেবু শরবতের দোকানে সকাল থেকে সন্ধ্যা চলে বেচাকেনা। তবে শহরে বিকাল ৫ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত দোকান গুলোতে শরবত বিক্রি করতে দেখা যায়।

শ্রমিক ও চা বিক্রেতা হাফিজুর ও সিরাজুল ইসলাম বলেন, “এই গরমে কাজ করলে অনেক পিপাসা পায়। শরীর অনেক ঘেমে যায়। তাই লেবু শরবত খেতে দর্শনা বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে শরবতের দোকানে এসেছি।”

শিক্ষক হাফিজুর রহমান ও খোরশেদ আলম বলেন, “তীব্র গরমে লেবুর শরবত শরীরে অন্য রকম আমেজ নিয়ে আসে। এক গ্লাস পান করলেই প্রশান্তি পাই।”

ভ্যানচালক খোকন ও আসাদুল বলেন, “এই গরমে ভ্যান চালাতে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। এই লেবু শরবত খেতে অনেক ভালো লাগে। শরীরও ভালো থাকে।”

উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ব্রিজমোড়ের সামনে এক লেবু শরবত বিক্রেতা জাহিদ বলেন, “তীব্র গরমে লেবু শরবতের চাহিদা আগের থেকে বেড়েছে। আগে আমার সারা দিন বিক্রি হতো আট শ থেকে এক হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা।”

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হেলেনা আক্তার নিপা বলেন, “গরমে পানি খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বা খোলা পরিবেশে যে শরবত বিক্রি হচ্ছে সেগুলো স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই অস্বাস্থ্যকর পানি পান করলে আমাদের শরীরে নানা রোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে ডাইরয়া, জন্ডিসসহ বিভিন্ন রোগ। তাই এ ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলা ভালো।”

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে