রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

তাপপ্রবাহে গোবিন্দগঞ্জে সেচসহ খাওয়ার পানি সংঙ্কটে কৃষক ও সাধারণ মানুষ

গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি
  ০৫ মে ২০২৪, ২০:০৬
তাপপ্রবাহে গোবিন্দগঞ্জে সেচসহ খাওয়ার পানি সংঙ্কটে কৃষক ও সাধারণ মানুষ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আশংকাজনক ভাবে নীচে নামে গেছে পানির স্তর। দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র তাপপ্রবাহ ও খরায় পুকুর এবং খালবিল শুকিয়ে যাওয়ায় এই অবস্থা আরো প্রকট আকার ধারণ করাছে। এতে করে ইরিবেরো চাষে সেচ কার্যক্রম আরো সংকটের মুখে পরায় বিপাকে কৃষক ও সাধারণ মানুষ। বরেন্দ্র এলাকা গুলোতে ৭ থেকে ৮ ফিট গভীরে গর্তকরে পাম্প বসিয়েও ফসলি জমিতে দিতে হচ্ছে সেচ। পনির স্তর নিচে নামায় চাপকল ও বাসতবাড়ীর নলকুপে ও পাম্পে পানি না উঠায় প্রতিনিয়ত দুভোর্গের শিকার হচ্ছে মানুষ। বাধ্য খাওয়ার পানির জন্য নতুন করে একাধিক স্থানে বোডিং করছেন অনেকেই। পানির এমন সংকটে হুমকির মুখে পরেছে স্থানীয়দের জীবন যাত্রা।

উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ ও দীর্ঘ খরা আর অনাবৃষ্টিতে শুকিয়ে গেছে অনেক পুকুর ও খাল বিল। এতে অনেক এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে গেছে। বিশেষ করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বরেন্দ্র এলাকার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নামতে থাকায় সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। পানির স্তর আশংকাজনক হারে কমে যাওয়ায় বেশীর ভাগ অগভীর সেচ মেশিনে পানি ওঠছে না।সাপমারা ইউনিনের চক রহিমাপুর, রামপুরা, সাহেবগঞ্জ, মেরী, মাদারপুর, কাটাবাড়ী ইউনিয়নের পলুপাড়া, কলোনী, ভেলামারী, কৌচাসহ বেশকিছু এলাকায় একই অবস্থা। পানির স্তর নীচে নামায় কৃষকরা কোথাও ৮ থেকে ১০ ফিট গভীরে গর্তে সেচপাম্প বসিয়ে পানি তুলছে। পানির স্তর এ ভাবে নামতে থাকলে আগামী বছর গুলিতে সেচ সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করবে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা। এছাড়াও পনির স্তর নিচে নামায় বাসাবাড়ীর চাপকল ও পাম্পে গুলোতে একই অবস্থা। পানি না ওঠায় বাধ্য হয়ে অনেকেই নতুন করে খাওয়ার পানির জন্য একাধিক বোডিং করছেন। পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে একই অবস্থা বিরাজ করছে। নলকুপে খাওয়ার পানি না ওঠায় স্থানীয়রা রয়েছেন বিপাকে।

সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ এলাকার সুমন কুমার মোহন্ত বলেন, আমার বাড়ী করতোয়া নদীর তীরে। আগে সাধারণ নলকুপে পানি উঠত এখন আর সে নলকুপে পানি উঠছে না। তাই নতুন করে নলকুপ বসাতো হল।

তবে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান বলেন ফসলি জমিতে বেশী পানি ব্যবহার না করে পরিমাণ মত পানির ব্যবহার করা উচিত। তিনি নদী-খালবিলের মত প্রকৃতিক উৎস থেকে পানি ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহাআলী পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান আগে যেখানে ৩০ থেকে ৩৫ ফিট গভীরতায় বডিং করে পানি পাওয়া যেতো, এখন সেখানে পানি পেতে ৪০ থেকে ৬০ ফিট ভূগর্ভে যেতে হচ্ছে। সল্প আয়ের পরিবারের সুপেয় পানি পেতে প্রকল্পের মাধ্যমে টিওবয়েল স্থাপনসহ নানা প্রকল্প চলমান আছে। এছাড়াও মানুষকে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে তা ব্যবহারে পরামর্শ দেন তিনি।

প্রতি বছরই পানির স্তর এ ভাবে নামতে থাকলে আগামী সেচ মৌসুম গুলিতে কুপের গভীরতা পানি সংকট আরো প্রকট হবে বলে আশংকা কৃষক ও এলাকাবাসী। যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে