শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এখনো ভুতুড়ে জনপদ গাদ্দাফির নিজের শহর সিতের্

যাযাদি ডেস্ক
  ০৮ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

লিবিয়ার সিতের্ শহর থেকে কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা বিতাড়িত হয়েছে দুই বছর আগেই। তারপরও এখানকার অধিবাসীরা এখন একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে। কারণ পুরো শহরটিই ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে। এই জনপদটি আবার সাবেক লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির নিজেরও।

একসময় সিতের্ ছিল সাজানো গোছানো ছবির মতো একটি শহর। আর এখন শহরের যেদিকেই চোখ যায়, শুধু যত্রতত্র ধ্বংসস্তূপ চোখে পড়ে। প্রায় প্রতিটি বাড়িই হয় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, না হয় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সব স্থাপনার প্রায় একই অবস্থা। এক সময়ের রমরমা এই শহরটিতে এখন শুধুই সংকট আর ধ্বংসের চিহ্ন।

যুদ্ধের ডামাডোল শেষে এখন শহরের অধিবাসীরা যার যার বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। যদিও শহরটি পুনগর্ঠনে সরকার ও আন্তজাির্তক সম্প্রদায়ের তৎপরতা খুব কম বলে মনে করছে তারা। অথচ দুই বছর আগেই এই শহর থেকেই উৎখাত হয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। তারপরও শহরটি এখনো একটি ভুতুড়ে শহর হয়েই আছে।

সেখানকার একজন অধিবাসী বলেন, ‘শহরটিকে এ অবস্থায় দেখার জন্য আমরা ফিরে আসিনি। অনেকে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। নিজের বাড়ির অবস্থা দেখে আমার এক আত্মীয় হাটর্ অ্যাটাকে মারা গেছেন।’ অধিবাসীরা বলছেন, শহরটির পুনগর্ঠনের কোনো উদ্যোগই তাদের চোখে পড়ছে না। তাদের অনেকের ক্ষোভ পশ্চিমাদের বিরুদ্ধেই। কারণ তারা মনে করে, পশ্চিমারা যুদ্ধের সময় শহরটিকে ধ্বংস করেছে। কিন্তু এখন অধিবাসীদের কোনো সহায়তাই করছে না।

আরেকজন অধিবাসী বলেন, ‘সাহায্য দেয়ার নাম করে তারা আমাদের উপহাস করছে। সারাদিন ধরে লাইনে দঁাড় করিয়ে রাখে। আমরা সাহায্য চাই না। তারা আমাদের প্রতিবেশীদের ঘরবাড়ি ঠিক করে দিক, না হলে আমরা ইউরোপের দিকেই চলে যাব।’

ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সাত মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সময় শহরটি প্রায় সম্পূণর্ ধ্বংস হয়ে যায়। শহরটি এমনিতেই ২০১১ সালের মুয়াম্মার গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলনের ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা আর যুদ্ধে অথর্নীতির অবস্থা আরও করুণ হয়ে ওঠে।

লিবিয়ায় আইএস হুমকির অবসান হলেও সিতের্র দক্ষিণাঞ্চলীয় মরুভ‚মি এলাকায় এখনো কিছু জঙ্গি তৎপর আছে। সিতের্ শহরে এই জঙ্গিরা যেন আবার ফিরে আসতে না পারে, সেজন্য সবখানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

তাদেরই একটি পেট্রল টিমের সঙ্গে গিয়েছিলেন বিবিসির একজন সংবাদদাতা। তাকেই একজন সেনা কমর্কতার্ মেজর আলি রাফিদা বলেন, ‘সিতের্র মতো একটি বড় শহরের সুরক্ষা দেয়া আসলেই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। যদি লিবিয়ার মানুষজন আমাদের বাহিনীতে যোগ না দেয়, তাহলে জঙ্গিরা আবার ফিরেও আসতে পারে।’

উল্লেখ্য, এই সিতের্ই ছিল মুয়াম্মার গাদ্দাফির নিজের শহর এবং এখানেই তিনি বহু লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন। গাদ্দাফি ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর পশ্চিমা সমথির্ত বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হন। সংবাদসূত্র : বিবিসি নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<7006 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1