প্রিয় শিক্ষাথীর্, আজ তোমাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয়পত্র
ব্যাকরণ থেকে আলোচনা করা হলো
ঘ. ক্রমবাচক বা পূরণবাচক বিশেষণ: যে বিশেষণ পদ কোনো পযার্য়ক্রমিক স্থান বা ক্রম নিদের্শ করে, তাকে ক্রমবাচক বা পূরণবাচক বিশেষণ বলে।
যেমন: নবম শ্রেণি, পঞ্চম দিন ইত্যাদি।
২. ভাব-বিশেষণ: যে বিশেষণ পদ বিশেষ্য ও সবর্নাম পদ ছাড়া অন্য পদের দোষ-গুণ বা অবস্থা প্রকাশ করে তাকে ভাব-বিশেষণ বলে।
যেমন: আস্তে হঁাট, খুব আস্তে হঁাট ইত্যাদি।
ভাব-বিশেষণ আবার দুই প্রকার।
যেমন: ক. ক্রিয়া বিশেষণ খ. বিশেষণের বিশেষণ
ক. ক্রিয়া বিশেষণ: যে বিশেষণ পদ বাক্যের ক্রিয়াপদের গুণ, অবস্থা, প্রকৃতি ইত্যাদি নিদের্শ করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে।
যেমন: তাড়াতাড়ি চল, জিনিসটা সাবধানে রাখ।
খ. বিশেষণের বিশেষণ: যে বিশেষণ বিশেষণের দোষ, গুণ, অবস্থা প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণের বিশেষণ বলে। যেমন: সে খুব আস্তে হঁাটে, সুফিয়া খুব ভালো মেয়ে।
প্রশ্ন: উদাহরণসহ ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
উত্তর: যে পদ দিয়ে কোনো কাজ করা, হওয়া ইত্যাদি বোঝায় সেগুলোকে ক্রিয়াপদ বলে। যেমন: লেখে, পড়ে, যায়, খায় ইত্যাদি।
অথের্র দিক থেকে ক্রিয়াপদ দুই প্রকার:
১. সমাপিকা ক্রিয়া: যে ক্রিয়াপদের প্রয়োগে বাক্যের অথর্ সবটুকু প্রকাশ পায়, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে।
যেমন: ক্লাস শুরু হয়েছে, ফল বেরিয়েছে।
২. অসমাপিকা ক্রিয়া: যে ক্রিয়াপদের সাহায্যে বাক্যের অথর্ সবটুকু প্রকাশ হয় না, সম্পূণর্ অথর্ প্রকাশের জন্য আরও কিছু ক্রিয়ার প্রয়োজন পড়ে, সেগুলোকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে।
যেমন: পরীক্ষার জন্য তৈরি হয়ে এসো, ভালো ফল হলে সবাই খুশি। এসব বাক্যে ‘হয়ে’, ‘হলে’- এসব ক্রিয়াপদ পযর্ন্ত বললে অথের্র সম্পূণর্ প্রকাশ হয় না। তাই এগুলো অসমাপিকা ক্রিয়াপদ।
গঠনের দিক থেকেও ক্রিয়াপদকে তিন ভাগ করা যায়:
১। মৌলিক ক্রিয়া: যেসব ক্রিয়াপদ মৌলিক ধাতু থেকে গঠিত হয়, তাকে মৌলিক ক্রিয়া বলে।
যেমন: সে ভাত খায় (খা+য়)।
২। যৌগিক ক্রিয়া: অসমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে অন্য কোনো ধাতুযোগে যে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়, তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে। যেমন: সে পাস করে গেল।
৩। প্রযোজক ক্রিয়া: যে ক্রিয়া একজনের প্রযোজনা বা উদ্যোগে অপরজন কতৃর্ক সম্পাদিত হয়, তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে। যেমন: শিক্ষক ছাত্রকে পড়ান।