আজ তোমাদের জন্য প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো
প্রশ্ন: আমাদের নিকটতম নক্ষত্রটি কী? এটি কীভাবে আমাদের উপকারে আসে ৪টি বাক্যে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আমাদের নিকটতম নক্ষত্র সূর্য। পৃথিবীতে আমাদের অস্তিত্বনির্ভর করে সূর্যের ওপর। সূর্য থেকে আমরা তাপ ও আলো পাই, যা কাজে লাগিয়ে গাছপালা আমাদের জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন সরবরাহ করে। এ ছাড়া সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী ঘোরে- যার ফলে দিন-রাত সংঘটিত হয়। পৃথিবীতে জীবনের উদ্ভব সম্ভব হয়েছে সূর্যের জন্য এবং সে জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সব শক্তি সূর্যই সরবরাহ করে।
প্রশ্ন: আমাদের দেশে যখন দিন তখন পৃথিবীর কোনো কোনো দেশে রাত হয়- এর কারণ ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর: পৃথিবীর সম্পূর্ণ পৃষ্ঠে সূর্যের আলো একই সময়ে পড়ে না। কারণ পৃথিবী সর্বদা তার নিজ অক্ষের ওপর আবর্তনশীল। ফলে আমাদের দেশ পৃথিবীর যে অংশে অবস্থিত সে অংশ যখন সূর্যের দিকে থাকে তখন আমাদের দেশে দিন হয়, আবার এর বিপরীত পৃষ্ঠের দেশগুলোয় তখন সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারে না বলে সে দেশগুলোয় রাত। একইভাবে আমাদের দেশে যখন রাত হবে তখন সেই দেশগুলো সূর্যের দিকে থাকবে এবং সেখানে দিন হবে।
প্রশ্ন: তুমি কী সব সময় আকাশের চাঁদ একই রকম দেখ? উত্তরের কারণ ৫টি বাক্যে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আমি সব সময় আকাশের চাঁদ একই রকম দেখি না। কারণ, পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার ফলে কখনো কখনো আমরা চাঁদের আলোকিত অংশের সবটাই দেখতে পাই, তখন চাঁদকে পূর্ণাঙ্গ থালার মতো দেখি। কখনো আবার আলোকিত অর্ধেক গোলকের অংশবিশেষ দেখতে পাই, এর ফলে চাঁদের অন্ধকার অংশ কখনো কখনো পৃথিবীর দিকে থাকে। পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে এক সময় চাঁদ পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চলে আসে, এতে আমরা অমাবস্যা দেখতে পাই। কিন্তু চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার পরবর্তী পর্যায়ে এর আলোকিত অংশবিশেষ পৃথিবীর দিকে চলে আসে, তখন আমি চাঁদের ফালি দেখতে পাই। এভাবে পর্যায়ক্রমে সাড়ে ২৯ দিন পর চাঁদের পরিক্রমা শেষ করে, তখন চান্দ্রমাস পূর্ণ হয়।
প্রশ্ন: সূর্য নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর: সূর্য একটি নক্ষত্র। এর প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো-
১. সূর্যের নিজস্ব আলো আছে।
২. সূর্য থেকে আমরা তাপ ও আলো পাই।
৩. এটি সৌরজগতের কেন্দ্রীয় নক্ষত্র।
৪. সূর্যকে কেন্দ্র করেই পৃথিবী নানা গতি লাভ করেছে।
৫. সূর্যের কারণেই পৃথিবীতে দিন-রাতের পরিবর্তন ঘটছে।
৬. সূর্য উজ্জ্বল ও উত্তপ্ত।
৭. এখানে প্রধানত হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস আছে।
৮. সূর্যের কারণেই পৃথিবীতে জীবনের উদ্ভব সম্ভব হয়েছে।
প্রশ্ন: দিন-রাতের কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পৃথিবী তার মেরুরেখার ওপর পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এভাবে একবার ঘুরে আসতে সময় লাগে প্রায় ২৪ ঘণ্টা বা ১ দিন। পৃথিবীর এ দৈনিক গতির নাম আহ্নিকগতি। সূর্যের নিজস্ব আলো থাকে। পৃথিবীর আবর্তনের সময় এর যে অংশ সূর্যের দিকে থাকে সে অংশ আলোকিত হয়। অন্য পাশটি আলো পায় না, অন্ধকার থেকে যায়। আলোকিত অংশটিকে দিন এবং অন্য অংশটিকে রাত বলে। এভাবে পৃথিবীর অর্ধেকাংশে দিন এবং বাকি অর্ধেকাংশে রাত চলতে থাকে।