শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৮০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মাহমুদুল হক গ্রেপ্তার

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:২৮

হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক গ্রাহকের আশি লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে এবি ব্যাংক মাধবপুর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে থানার এস.আই ফজলে রাব্বি ঢাকার মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন। এ ব্যাপারে সোমবার এবি ব্যাংকের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক লিয়াকত আলী খাঁন বাদী হয়ে সাবেক ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হক, শাখা অপারেশন ব্যবস্থাপক মুহিবুর রহমান, মাধবপুর বাজারের মুন্সি টাওয়ারের সত্ত্বাধিকারী মো. আব্দুল হাসিমকে আসামী করে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়- ২০১৫ সালের ২৩ আগষ্ট আদিল হোসেন নামে এক গ্রাহক তার একাউন্টে ৮৬ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা জমা দেন। এবং ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর মো. আদিল হোসেন মাসিক ইনকাম ডিপোজিট স্কীম এর আওতায় গরফং নং ৩৫১৭৯৮৭ এবং গরফং নং ৩৫১৭৯৮৮ এর মাধ্যমে ৮০ লক্ষ টাকা ওই স্কীমে জমা দেয়। কিন্তু তৎকালিন ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হক ওই আশি লক্ষ টাকা ব্যাংকে সিস্টেমে জমা না রেখে নিজের কাছে রেখে দেন। এবং প্রতি মাসে সুদের টাকা ব্যবস্থাপক নিজের পকেট থেকে গ্রাহককে দিতে থাকেন।

পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর আদিল হোসেন ও তার ছেলে রেনু মিয়া মাসিক ইনকাম ডিপোজিট স্কীম ভাঙ্গানোর জন্য ব্যাংকে আসেন। কিন্তু দায়িত্বরত ব্যাংক কর্মকর্তারা ওই মাসিক ইনকাম ডিপোজিট স্কীম এর কোন অস্থিত ব্যাংকে খুজে পায়নি। কিন্তু ডিপোজিট স্কীম কাগজপত্র দেখে বুঝা যায় তা আসল। সঙ্গে সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক লিয়াকত আলী খাঁন অপারেশন ব্যবস্থাপক মুহিবুর রহমানকে জিঞ্জেস করলে স্বীকার করেন যে গ্রাহক আদিল হোসেন ওই মাসিক ইনকাম ডিপোজিট স্কীমের আওতায় আশি লক্ষ টাকা জমা দিয়েছেন । এবং তৎকালিন ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হক তা স্বীকার করে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গিকার করেন।

অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন এবি ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে গঠিত ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি পর্যালোচনা করে দেখেন যে ২০১৫ সালের ২৩ আগষ্ট আদিল হোসেন নামে এক গ্রাহক তার একাউন্টে ৮৬ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা জমা দেয়। ব্যবস্থাপক ৩০ আগষ্ট ওই গ্রাহকের একাউন্ট থেকে বিনা চেকে মুন্সি টাওয়ারের মালিক আঃ হাসিমের মুন্সী এন্টারপ্রাইজ নামে একই ব্যাংকের একাউন্টে ৮৫ লক্ষ টাকা হানান্তর করেন। পরবর্তীতে কয়েক দফায় ওই টাকা উত্তোলন করে নেয়। এবং ২০১৬ সালে ১ নভেম্বর আদিল হোসের এর একাউন্টে কোন লেনদেন হয় নাই।

এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল হোসেন জানান-সৈয়দ মাহমুদুল হক একজন প্রতারক সে বিভিন্ন গ্রাহকের প্রায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জিঞ্জাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।

যাযাদি/এসএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে