বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্মপাশায় খাজনা না দিয়েই জলমহাল ভোগদখল

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:১৪
ধর্মপাশায় খাজনা না দিয়েই জলমহাল ভোগদখল

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার শালদিঘা সরকারি জলমহালটি স্থানীয় একটি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ইজারাপ্রাপ্ত হলেও তারা সরকারের খাজনা পরিশোধ না করেই অবৈধভাবে জলমহালটি ভোগদখল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে স্থানীয় ফারুকনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. চান মিয়াকে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে দফায় দফায় নোটিশ করা হলেও এ বিষয়টি আমলে না নিয়েই তিনি জলমহালটি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চতুর্থবারের মতো সর্বশেষ গত ২৩ আগস্ট ওই সমিতিকে দেওয়া চূড়ান্ত নোটিশ থেকে সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়নের ইরাবাদ ও নারাহিজড়াসহ ৩টি মৌজার অধীনে থাকা প্রায় ৪৫ একর আয়তনের শালদিঘা নামক সরকারি ওই জলমহালটি চলতি ১৪২৮ বাংলা সাল হতে ১৪৩৩ বাংলা সাল পর্যন্ত উন্নয়ন পরিকল্পনা দেখিয়ে ৬ বছর মেয়াদে বাৎসরিক ৮ লাখ টাকায় ইজারাপ্রাপ্ত হন স্থানীয় ফারুকনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মো. চাঁন মিয়া। কিন্তু তিনি জলমহালটি ইজারা প্রাপ্ত হওয়ার পর প্রায় ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও ইজারাপ্রাপ্ত সমিতির পক্ষ থেকে চলতি বছরের ইজারার টাকা পরিশোধ না করেই তারা অবৈধভাবে জলমহালটি ভোগদখল করে আসছেন। আর জলমহালটির বাৎসরিক ইজারার টাকা পরিশোধ করার জন্য ইজারাপ্রাপ্ত ওই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. চাঁন মিয়াকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ৪ দফায় চূড়ান্ত নোটিশ করা হলেও তিনি বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তাকে সর্বশেষ চূড়ান্ত নোটিশটি করা হয় গত ২৩ আগস্ট। ওই চূড়ান্ত নোটিশে বলা হয়, চলতি মাসের গত ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জলমহালটির বাৎসরিক ইজারার টাকা পরিশোধ করার জন্য। কিন্তু তিনি নোটিশ পাওয়ার পরও ইজারার টাকা পরিশোধ না করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছেন।

জলমহালের ইজারাদার ফারুকনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. চাঁন মিয়া জলমহালের বাৎসরিক ইজারার টাকা পরিশোধের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ৪ দফায় নোটিশ প্রাপ্তির বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মূলত আমাদেরকে খাজনার টাকা জোগাড় করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে টাকা জোগাড় করে শিগগিরই ইজারার টাকা পরিশোধ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান বলেন, ইজারার টাকা পরিশোধ না করে থাকলে ওই জলমহাল থেকে ইজারাদারসহ তাদের লোকজনদেরকে উচ্ছেদ করা হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বার বার নোটিশ পাওয়ার পরও ইজারাদাররা যেসব জলমহালের ইজারার টাকা এখনো পরিশোধ করেননি, আমরা তাদের জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত করে সেসব জলমহাল পুনরায় ক্যাশ-কালেকশনে দেওয়া হবে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে