সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাকিমপুরে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত 

হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২০

দিনাজপুরের হাকিমপুরের ডাঙ্গাপাড়া বাজারে দু'দিন ব্যাপী গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাহারি পিঠা উৎসব শুক্রবার ছিল এর সমাপনী দিন। ডাঙ্গাপাড়া মডেল স্কুল প্রাঙ্গনে এর আয়োজন করা হয়। স্কুলটির পরিচালক অ্যাড. আনোয়ারুল ইসলাম এর আয়োজন করেন।

পিঠা উৎসবটির ৪র্থ বর্ষের এই আয়োজনে মোট ৮ টি স্টল বসে। স্টল গুলিতে সব বাহারি পিঠার পসরা সাজানো হয়।উৎসবটিতে বিভিন্ন পিঠার স্বাদ নিতে হাকিমপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন বয়সের ভোজন রসিকদের উপস্থিতির পাশাপাশি দর্শনার্থী ও কচি কাচাঁদের মিলন মেলা বসেছিল।

এবারের এই উৎসবে স্টল গুলিতে শতাধিক প্রকার পিঠার পসরা সাজানো হয়েছিল। বিকি কিনিতেও দারুন সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন স্টল মালিকগণ।

এ বিষয়ে এর আয়োজক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এড. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, পিঠা আমাদের একটা গ্রামের ঐতিহ্য। আমাদের মা দাদীরা একসময় সারারাত ধরে পিঠা বানাত আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে খাইতাম। এরপর অগ্রহায়ণ মাসে নবান্ন উৎসব হয়তো। আর পৌষ মাসে পৌষ পার্বণ অনুষ্ঠান হতো। এখন আর এসব কিছু হয় না।

এখন আমরা যান্ত্রিক যুগে চলে গেছি। এখন আমাদের বাচ্চারা বিদেশী ফাস্টফুড বার্গার পিৎজা ইত্যাদি খাচ্ছে কারণ তারাপীঠা পায় না। পিঠার যে বৈচিত্র্য আছে আমরা ২/১টি পিঠার নাম জানি বাকি গুলোর নাম জানিনা তাই পিঠার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং বর্তমান প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে আজকের এই আয়োজন। ১শ থেকে ২শ ধরনের পিঠা আছে যা আমাদের মা-বোনেরাই বানাতে পারে। আমরা এই ধারণা থেকে আজ থেকে ৪ বছর আগে এখানেই ছোট্ট পরিসরে ১দিনের আয়োজন করেছিলাম। সেই সময় ব্যাপক ছাড়াও পেয়েছিলাম। তার পরের বছর থেকে ২ দিনের আয়োজন করে আসছি।সকাল থেকে গ্রামীণ কচিকাঁচারা সহ সব বয়সের মানুষেরা আসছেন এবং তাদের পছন্দের পিঠার স্বাদ গ্রহণ করছেন। পাশাপাশি আমাদের স্কুলের কচি কাচারাও এর সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে।

এইসব পিঠা খেলে পেটও অসুস্থ হবে না, শরীরও অসুস্থ হবে না। গ্রামীন এলাকার প্রতিটি মানুষ যেন পিটার প্রতি আকৃষ্ট হয় তবে তা না হলে পিঠা হারিয়ে যাবে ফাস্টফুড চলে আসবেএটাই আমার লক্ষ্য এটাই আমার উদ্দেশ্য। আর এই জন্যই আমরা এই উৎসবের আয়োজন করেছি। এবং আগামীতে এর ব্যাপকতা বৃদ্ধির প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। দর্শনার্থী গৃহিণী মোছা. এলিনা বেগম জানান, ছেলে মেয়ে ও ছোট বোনদের নিয়ে এপিঠা উৎসবেে এসেছিলাম এখানে এসে মাছ পিঠা, কমলা পিঠা সহ রকমারি পিঠার স্বাদ গ্রহণ করলাম।

শিক্ষার্থী মোছা. জেরিন জানান, এখানে বাংলা কালচারকে তুলে ধরা হয়েছে, এরকম আয়োজন তো সাধারণত দেখা যায় না। এরকম উদ্যোগের মধ্য দিয়ে গ্রামীর ঐতিহ্য ও বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারব।

এখন টেলিভিশন হিলি স্থল বন্দর প্রতিনিধি মো. সোহেল রানা জানান, স্ত্রী সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরলাম বিভিন্ন রকমের পিঠা খেলাম। আনন্দ উপভোগ করার জন্যই এখানে আসা।

তিনি আরো বলেন, এখানে গ্রাম্য ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে, যার ফলে বিশেষ করে খুদে শিক্ষার্থীরা এসবের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে