আজকের যায়যায়দিন

পৃথিরীর সবচেয়ে প্রাচীন রঙিন অণুর সন্ধান মিলেছে এক পাথরখÐ থেকে। এটি অনেকটা উজ্বল গোলাপি বণের্র। সাহারা মরুভ‚মির তলদেশ থেকে পাওয়া প্রাচীন এক পাথরখÐে পৃথিবীতে টিকে থাকা সবচেয়ে প্রাচীন এই জৈবরং আবিষ্কার করেন অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞানীরা। ১১০ কোটি বছর পুরনো ওই রঞ্জক উজ্জ্বল গোলাপি বণের্র; ঘনীভ‚ত অবস্থায় সেগুলো রক্ত লাল থেকে গাঢ় বেগুনি বণর্ ধারণ করে।

চ‚ণর্ শিলার মধ্যে জৈব দ্রাবক চালিয়ে এএনইউর পিএইচডি শিক্ষাথীর্ ড. নূর গুনেলি ওই রঞ্জকগুলো আবিষ্কার করেছেন। এ-সংক্রান্ত একটি নিবন্ধ যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স’ জানাের্ল প্রকাশিতও হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, সামুদ্রিক প্রাণীকোষের উৎপাদিত ক্লোরোফিলের জীবাশ্ম অণু থেকে ওই রঞ্জকগুলো পাওয়া গেছে। মাটি থেকে পাওয়া পাথরের শিলা গুঁড়িয়ে সেগুলোকে আলাদা করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভাসিির্টর (এএনইউ) সহযোগী অধ্যাপক জোসেন ব্রæকস বলেন,

‘কল্পনা করুন, আপনারা একটি জীবাশ্ম ডাইনোসরের চামড়া পেয়েছেন, যাতে এখনো তার মৌলিক রংটি রয়ে গেছে, সবুজ কিংবা নীল। আমাদের আবিষ্কারও অনেকটা সেই ধরনের। এগুলো সত্যিকারের অণু, পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো রঙিন অণু। সূযাের্লাকের বিপরীতে ধরলে এগুলোকে নীলাভ গোলাপি বণের্র দেখায়।

ইসরাইলি আগ্রাসন / গাজার রাফাহতে হামলার প্রস্তুতি চলছে

ব্রæকস আরও বলেন, পাথর থেকে রঞ্জক পৃথকীকরণের প্রক্রিয়াটি ‘অনেকটা কফি মেশিনের মতোই’। তিনি বলেন, ‘যখন এটি বেরিয়ে এলো, তখন পরীক্ষাগার থেকেই তার (নূর গুলেনি) চিৎকার শুনতে পাই আমি, সে আমার কাযার্লয়ে দৌড়ে আসে। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম পাথরখÐটি বোধহয় বিষাক্ত। এত দীঘর্সময় ধরে যে একটি জৈব রং টিকে থাকতে পারে, তা সত্যিই অবিশ্বাস্য।’ যে পাথরখÐ থেকে পৃথিবীর ‘সবচেয়ে পুরনো রঙিন অনু’ পাওয়া গেছে, সেটি বছর দশেক আগে মৌরিতানিয়ার তাউদেনি অববাহিকা থেকে একটি খনি কোম্পানি তুলে এনেছিল। কয়েকশ মিটার নিচে খনন করার পর পাথরটি পাওয়া পায়।

গবেষকদের বিশ্লেষণে জানা গেছে, পাথরে পাওয়া রঞ্জকগুলো শত কোটি বছর আগে সমুদ্রের সায়ানোব্যাকটেরিয়া থেকে প্রস্তুত হয়েছিল।

পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশের ব্যাপারে তখনকার পরিস্থিতি কেমন ছিল, তা জানতে নতুন এ আবিষ্কার যথেষ্ট ভ‚মিকা রাখবে।

অতিক্ষুদ্র সায়ানোব্যাকটেরিয়া শত কোটি বছর আগে সমুদ্র অববাহিকার খাদ্যশৃঙ্খলকে প্রভাবিত করত, সে সময় কেন প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল না, তা বুঝতে এটি সহায়তা করেছে। প্রাণী বিকশিত হতে শুরু করেছে মাত্র ৬০ কোটি বছর আগে থেকে, এর আগে এ বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের উৎসই ছিল না। সংবাদসূত্র : বিবিসি